লকডাউনে রাঙামাটি শহর ফাঁকা, বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা

fec-image

সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধের লকডাউনের ২য় দিনে শুক্রবার (০২জুলাই) রাঙামাটিতে সর্বাত্মকভাবে লকডাউন কার্যকর রয়েছে। গত দুদিন ধরে শহরের রাস্তাগুলো ফাঁকা। শহরের বাজারগুলোতে ওষুধ ও হোটেল দোকান ছাড়া অন্যসব দোকান ও শপিংমল বন্ধ রয়েছে। রাস্তাঘাটে লোকজনের উপস্থিতি নেই। সকল প্রকার যানবাহন ও নৌ চলাচল বন্ধ।

শহরে সেনাবাহিনীর টহল ছাড়াও বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে বিজিবি ও পুলিশ। রিকশা বিহীন রাঙামাটি শহরে একমাত্র গণপরিবহন সিএনজি অটোরিক্সা বন্ধ থাকায় কার্যত সরকারের বিধি নিষেধ সফলভাবে পালিত হচ্ছে। সকাল থেকে লকডাউন কার্যকর করতে জেলা প্রশাসনের মোবাইল টিম কাজ করছে।

সরকারের লকডাউন কার্যকর করতে দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকে বেসামরিক প্রশাসন সহায়তা করতে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ। এসময় তারা বিভিন্ন পয়েন্টে গাড়ি চেক পোস্ট চেক করাসহ অকারণে যারা ঘোরাঘুরি করছে, তাদের বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। কঠোর অবস্থানে জেলা প্রশাসনের বেশ কয়েকটি মোবাইল টিম শহরের বিভিন্ন অলি গলিতে কাজ করছে।

এছাড়া লকডাউন কার্যকরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে পুলিশ, আর্মড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন। লোকজন নিত্য প্র্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে বের হলেও মোবাইল টিমের মুখে পড়তে হয়েছে।

এদিকে জেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ লাফিযে লাফিয়ে বাড়ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় ২৬ জন শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে রাঙামাটি সদরে ৬ জন, কাপ্তাইয়ে ৯ জন, বাঘাইছড়িতে ৩ জন , রাজস্থলীতে ৫ জন, কাউখালীতে ২ জন ও বিলাইছড়িতে ১ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। করোনার উর্ধ্বগতি ঠেকাতে জরুরি কারণ ছাড়া লোকজন যেন ঘরের বাইরে বের না হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়ন করতে জেলা প্রশাসন কাজ করছে। যারা বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ রোধ করতে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসনের সাথে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি সদস্যরা যৌথভাবে কাজ করছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন