লক্ষীছড়িতে ৩০০ সিএফটি চোরাই কাঠ ও ৩টি জীপ আটক করেছে সেনাবাহিনী
লক্ষীছড়ি উপজেলার বনাঞ্চল থেকে রাতের আধাঁরে চোরাই কাঠ সমতলে পাচারকালে গোপন খবরে ৩ জীপে থাকা ৩০০ সিএফটি চোরাই কাঠ আটক করেছে সেনাবাহিনী। অভিযোগ রয়েছে কাঠ ভর্তি জব্দ একটি জীপের অঘোষিত মালিক উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ের নৈশপ্রহরী মো. এরশাদ।
বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, খাগড়াছড়ি জেলার অনুন্নত জনপদ লক্ষীছড়িতে বনবিভাগ ও সেনাবাহিনী অগোচরে একটি চক্র অবৈধভাবে কাঠ পাচারে জড়িত থেকে সমতলে কাঠ করছিল। ফলে বনবিভাগ ও সেনাবাহিনী এলাকায় নজরদারী বৃদ্ধি করায় গত মঙ্গলবার রাত ৮টার পর সদর ইউপির মহেষকাটা হয়ে ফটিকছড়ি উপজেলায় ৩ জীপ ( চান্দের গাড়ী) বোঝাই গোল কাঠ পাচারকালে লক্ষীছড়ি জোনের বাইন্যাছোলা ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার মো. খোরশেদ আলম এর নেতৃত্বে একটি টহলের নজরে পড়লে তিনটি জীপ ভর্তি আনুমানিক ৩০০ সিএফটি কাঠসহ গাড়ীগুলো আটক করা হয়। পরে বনবিভাগের বন কর্মকর্তা মো. আবদুল গফুর চৌধুরী সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় এসব মূল্যবান (সেগুন,গামারী) কাঠসহ তিনটি জীপ আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিযোগ রয়েছে আটক জীপ গাড়ীর মধ্যে ঢাকা-জ-২২৫ নং গাড়ীটির অঘোষিত মালিক উপজেলা নির্বাহী অফিসের নৈশ প্রহরী মো. এরশাদ! এ বিষয়ে নৈশ প্রহরী মো. এরশাদ বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, এটি জনৈক কোরবান আলী গাড়ী। যা রিকুজিশন করে আমরা ( উপজেলা প্রশাসন) বিভিন্ন সময়ে ঘর নির্মাণ কাজে মালামাল আনা- নেওয়া করতাম, মালিকও তাঁর প্রয়োজনে ব্যবহার করতেন। কাঠসহ গাড়ীটি মালিকের অধীনে থেকে জব্দ হয়েছে।
বন কর্মকর্তা (ফরেস্ট) মো. আবদুল গফুর চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটক কাঠ রাতে নিরাপত্তার কারণে থানায় রাখা হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে এসব কাঠ ও গাড়ী বনবিভাগে এনে মামলার পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। আনুমানিক ৩০০ সিএফটি কাঠের বাজারমূল্য ৩ লক্ষাধিক টাকা।