লক্ষ্ণীছড়িতে অর্ধকোটি টাকার ৭টি মৎস্য প্রকল্পে বাঁধ: তথ্য প্রমাণ নেই উপজেলা মৎস অফিসে
স্টাফ রিপোর্টার, লক্ষ্মীছড়ি:
প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় বা বরাদ্দ, ড্রয়িং ডিজাইন আছে কি ? কেই বা ঠিকাদার এমনকি কাজগুলো কোথায় হচ্ছে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মৎস্য কর্মকর্তা জানালেন, সব কিছুই রাঙ্গামাটি থেকে করা হচ্ছে, আমাদের এখানে কোন কিছুই নেই।
সম্প্রতি খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা মৎস্য অফিসে গেলে এভাবেই জবাব দেন অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা উচিৎময় চাকমা। তিনি জানান, ২টি প্যাকেজে ৭টি মৎস্য বাঁধ হচ্ছে লক্ষ্মীছড়ির বিভিন্ন এলাকায় এটা সঠিক। তবে আমাকে শুধু মাত্র মনিটরিং এর কথা বলা হয়েছে। প্রকৃত অর্থে বরাদ্দ কত, নির্মাণ কাজ কেমন হবে এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে অফিসে কোন নির্দেশনা বা পত্র পাই নি।
কার্যাদেশ পাওয়ার পর ঠিকাদার কাজ শুরু করেছে এটা আমি জানি কিন্তু কাজের চাপে এখনো কোন প্রকল্পের কাজ দেখতে পারি নাই বলেও মৎস্য কর্মকর্তা উচিৎময় চাকমা জানান। সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি রাঙ্গামাটি জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে ২টি প্যাকেজে ৭ টি মৎস্য বাঁধ প্রকল্পের টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। উন্নয়ন বাজেট জিওবি’র অর্থায়নে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধিনে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য চাষ উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প (৩য় পর্যায়) গত ১৯/০১/২০১৪ইং তারিখে এক পত্রমূলে এ দরপত্র আহবান করা হলেও পরে অনিবার্য কারণ দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ সকল দরপত্র স্থগীত করে পূণরায় আবার টেন্ডার আহবান করা হয়।
৩ জেলায় ৫৪টি প্যাকেজে প্রায় ১’শ ৮০টির বেশি প্রকল্প নেয়া হয়। এর মধ্যে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার প্রকল্পগুলো হলো ১৭ নাম্বার প্যাকেজ ক) অনিল বিকাশ চাকমার ক্রীক উন্নয়ন, খ) মো: মশিউর রহমান ভান্ডারী ক্রীক, গ) মনি মোহন চাকমার ক্রীক উন্নয়ন ও মকবুল আহমেদ ক্রীক বাঁধ ও ড্রেইন নির্মাণ। ১৮ নাম্বার প্যাকেজ ক) নীল চন্দ্র চাকমার ক্রীক, খ) বিজয় গীরি চাকমার ক্রীক ও গ) ফুত্যাছড়ি মৎস্য বাঁধ ড্রেইন নির্মাণ। প্রায় ৫ লাখ টাকা করে প্রকল্প ব্যায় ধরা হয়েছে। প্রতিটি বাঁধের সাথে পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেইন নির্মাণ করার কথা থাকলেও ঠিকাদার ড্রেইন নির্মাণ না করে যেন তেন ভাবে কাজ বুঝিয়ে দিয়ে বিল নেয়ার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়াও ড্রয়িং ডিজাইন ও স্টিমেট মোতাবেক কাজ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রকল্পগুলো সুষ্ঠু তদারকি হচ্ছে কিনা বা রাঙ্গামাটি থেকে আদৌ কোন কর্মকর্তা সরেজমিনে পরিদর্শন করছেন কিনা এমনটা কেউ জানাতে পারে নি। তবে অনিয়ম করার কোন সুযোগ নেই বলেও দাবি করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা উচিতময় চাকমা।