parbattanews

লক্ষ্মীছড়িতে এক বাঙালী পরিবারকে উচ্ছেদ ও প্রাণনাশের হুমকি, বাগান ধ্বংস

Untitled-1 copy

মোবারক হোসেন:
খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় মহিষকাটা ডেবাতলী নামক এলাকায় এক বাঙ্গালী পরিবারকে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে।

বুধবার দিবাগত রাতে কোন একটি সময়ে নিজ ভূমিতে রোপন করা, পেঁপে, কলাগাছ ও রাবার বাগানের চারা কেটে ধ্বংস করে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।

ক্ষতির পরিমাণ প্রায় লক্ষাধীক টাকা হবে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সু-বিচার চেয়ে জমির মালিক লালমিয়া(৫০) প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে ১৩আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে এ প্রতিনিধি সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে এ ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পান। উক্ত ডেবাতলী এলাকায় পাহাড়ি-বাঙ্গালি মিলে আনুমানিক ৩০টি পরিবারের বসবাস। বিরোধপূর্ণ জায়গার সীমানা ঘেঁসেই ছাথোয়াই মারমা, পরান সাঁওতাল ও চেয়া মারমার বসবাস করেন।

সন্ত্রাসীরা কয়েক হাজার রাবার বাগানের চারা, অসংখ্য পেঁপে ও কলাগাছ কেটে ফেললেও সীমানা ঘেঁষা ছাথোয়াই মারমার তীল ক্ষেতের কোন ক্ষতির চিহ্ন পাওয়া যায়ি নি। পাশেই বসবাস করেন পরান সাঁওতাল তারও কেনো ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন পাওয়া যায় নি।

পরান সাঁওতালের বড়িতে গিয়ে মেয়ের জামাই বিধান সাঁওতালকে পাওয়া গেলেও তিনি এ ঘটনার কিছুই জানেন না বলে প্রথমে সাংবাদিকদের জানালেও পরে লাল মিয়ার সাথে শশুরের সাথে বিরোধের কথা স্বীকার করেন। এলাকার আবুল কালাম, এয়াকুব আলী ও মো: সেলিম গাছকাটা ও হুমকীর খবর শুনেছেন। তবে কে করেছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেন নি। তবে এ ঘটনা যে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা করেছে এমনটা দাবি করেন তারা।

এদিকে সন্ত্রাসীদের হুমকি ও প্রাণণাশের ভয়ে পরিবারের সবাই ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বিষয়টি কয়েকজনের নাম উল্লেক করে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও প্রশাসনকে মৌখিক ও লিখিতভাবে অবগত করেছে ভুক্তভোগী লালমিয়া।

জানা যায়, ৮৬সালের বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে উক্ত এলাকা থেকে বাঙ্গালিরা গুচ্ছগ্রামে চলে আসে। পরে স্বাভাবকি পরিস্থিতি ফিরে আসলে গত প্রায় ১৫ বছর ধরে লালা মিয়াসহ প্রায় ১০/১২টি বাঙালি পরিরার বসবাস করে আসছে। এরি মধ্যে উপজাতীয়রা শশ্মান বানানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় বাঙ্গালিদের বাঁধার মুখে তা থেমে যায়। এই নিয়ে স্থানীয়ভাবে মিলেমিশে বসবাসের স্বার্থে এখানে আর শশ্মান করা হবে না মর্মে সমঝোতা হয়।

অপর একটি সূত্রে জানা যায়, পরান সাঁওতাল জমিটি দখলে নেয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে স্বার্থ হাসিলের জন্য সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে বলে একাধীক সূত্রে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীছড়ি থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো: ইউসুফ আলী সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাটি শুনেছি, এখনো পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ হাতে পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।

Exit mobile version