parbattanews

লক্ষ্মীছড়িতে হেডম্যান’র পুড়ে যাওয়া ঘর নির্মাণে এগিয়ে আসলো প্রতিবেশিরা

RnPM`nonMR

মোবারক হোসেন, লক্ষ্মীছড়ি :

খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় দুর্গম বর্মাছড়ি এলাকায় গভীর রাতে আকষ্মিকভাবে আগুনে পুড়ে যাওয়া হেডম্যানের সেই ঘরটি নির্মাণ করতে এগিয়ে আসলো এলাকার প্রতিবেশিরা। খবর সংগ্রহের জন্য সদর থেকে প্রায় ২৫ কি: মি: দুরে বর্মাছড়ি ইউনিয়নের লেলাং বড় পাড়া এলাকায় এ প্রতিনিধি সম্প্রতি সরেজমিনে গেলে প্রতিবেশিদের সহায়তায় নতুন করে ঘর নির্মাণ কাজ চোখে পড়ে। দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন কেউ মাটি কাটছেন, কেউ বাঁশের বেড়া বুনাচ্ছেন আবার কেউ খুঁটি কাটছেন।

আরে মারমা জানান, আমাদের পাড়ার হেডম্যানের ঘর আগুনে পুড়ে গেছে, আমরা পাড়ার সবাই মিলে নতুন করে ঘর বেঁধে দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। একই গ্রামের রুবেল মারমার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন এভাবে- কেউ বিপদে পড়লে সহযোগীতা করা দরকার। এই জন্যই হেডম্যানের ঘর তৈরী করে দিতে পাড়ার সবাই নি:স্বার্থভাবে কাজ করে দিচ্ছি। আমাদের সাধ্যমত যার, যা আছে তাই দিয়ে সহযোগীতা করছি।

গত ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে আগুন লেগে বর্মাছড়ি ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার ৯২ নং লেলাং বড় পাড়া মৌজা হেডম্যান সুইশালা মারমার বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘরের মধ্যে থাকা মৌজার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, জমির দলিল, রাজস্ব আদায়ের প্রয়োজনীয় কাগজ ও মূল্যবান আসবাবপত্র পুড়ে যায়।

সুইশালা মারমা জানান, আমার সব কষ্ট দুর হয়ে গেছে যখন প্রতিবেশিরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। আমার যা ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হবার নয়, আমার দাবি যত দ্রুত সম্ভব এলাকার মানুষের যে দলিল পত্র পুড়ে গেছে তা জেলা প্রশাসক মহোদয় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় যদি সদয় দৃষ্টি দেন তাহলে দলিল পত্র তাড়াতাড়ি পাওয়া সম্ভব। লক্ষ্মীছড়ি জোনের পক্ষ হতেও ঘর নির্মাণের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা করেছেন বলে জানান সুইশালা মারমা।

লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শওকত ওসমান জানান, হেডম্যানের ঘর পুড়ে যাওয়ার খবরটি শুনেছি। এলাকার লোকজনের যেহেতু দলিলপত্র পুড়ে গেছে নতুন করে দলিল পাওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আমার পক্ষ থেকে সহযোগীতা অবশ্যই থাকবে।

লক্ষ্মীছড়ি জোন কমাণ্ডার লে: কর্নেল মুহম্মদ নুরুল আমিন জানান, ঘর পুড়ে যাওয়ার খবরটি আমার জানার সাথে সাথে আমার ক্যাম্প কমাণ্ডার দ্রুত ছুটে গেছে এবং জোনের পক্ষ হতে প্রয়োজনীয় সহায়তা করার চেষ্টা করেছি। এলাকার লোকজন সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে শুনে ভালো লাগলো। এমনিভাবে যার যার অবস্থান থেকে প্রত্যেক মানুষই অসহায়ের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ বলে জোন কমাণ্ডার মনে করেন।

Exit mobile version