parbattanews

লক্ষ্মীছড়ির এডিপি‘র আড়াই লাখ টাকা ফেরত গেল

লক্ষ্মীছড়ি প্রতিনিধি:

সরকারের হিসেবে নিকেশের বছরের শেষ দিন ৩০ জুন। সবার কাছে আলোচিত নাম এ দিনটি ‘জুন ফাইনাল’। এই জুন ফাইনালকে ঘিরে থাকে অফিস পাড়ায় নানা ব্যস্ততা। কাজের হিসেব মিলোক আর নাই মিলোক। হয় খরচ দেখাতে হবে না হয় টাকা ফেরত দিতে হবে। আর বিকল্প পথ খোলা থাকে পে-অর্ডার জমা রাখা।

৩০ জুন শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কার্যালয়ের এডিপি বরাদ্দ হতে ২ লাখ ৪৮ হাজার টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় প্রায় ৩ লাখ টাকার পে-অর্ডার জমা রাখা হয়েছে। পরবর্তিতে কাজ শেষ করা হলে প্রাপ্ত পে-অর্ডারের অর্থ ফেরত দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, কোন অর্থ ফেরত দেয়া হয়নি। তবে প্রায় ৭ লাখ ১০ হাজার টাকার পে-অর্ডার করে রাখা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সোলার প্যানেল সরবরাহ প্রকল্পে সিদ্ধান্তহীনতার কারণে কোনো অর্থ প্রকল্প চেয়ারম্যানদের হাতে দেয়া হয়নি। এ খাতে প্রায় ১৮ লাখ ৪২ হাজার টাকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের হিসাব নাম্বারে জমা রাখা হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) আব্দুল জব্বার এ প্রতিনিধিকে বলেন, যথা সময়ে প্রকল্প চেয়ারম্যানর কাজ শেষ করতে না পারায় বিল দেয়া হয়নি। আলোচনা ও পরামর্শ করেই পে-অর্ডার করে রাখা হয়েছে। কাজ শেষ করলেই পে-অর্ডার তুলে নিতে পারবেন বলে জানা তিনি।

এদিকে লক্ষ্মীছড়িতে প্রকল্পের বিষয়ে স্থানীয় মেম্বাররা নানা অনিয়ম তুলে ধরে লিখিত অভিযোগ করলে নড়ে-চড়ে বসে পিআইও অফিস। যার ফলে অত্যান্ত সতর্কতার সাথে পাঁ বাড়ায় সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তারা।

Exit mobile version