খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগে ২০০৯ সাল পরবর্তী সময়ে যোগদানকৃত নেতাদের একাংশের দল বিরোধী কার্যক্রমে দলে বিভাজন শুরু হওয়ায় ত্যাগী নেতাকর্মীরা প্রতিবাদমূখর হয়ে উঠেছে। ফলে শুক্রবার বিকেলে মংহ্লাপাড়া কৃষি পণ্য সংগ্রহ শালা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা।
এতে তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা হাইব্রিড নেতাদের সতর্কের পাশাপাশি ৫ নেতাকে বহিষ্কারের জোর দাবী জানিয়েছেন।
১১ মার্চ (শুক্রবার) বিকেল সাড়ে ৩টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য রেম্রাচাই চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভা।
ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য মো. আবদুর রশিদ মোল্লা।
অতিথি ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন বেপারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাথোয়াইঅং মারমা, নূরে আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক দেবু তালুকদার, আনোয়ার হোসেন গাজী, যুবলীগ সভাপতি মো. আবুল কালাম, শ্রমিকলীগ সভাপতি আবদুল ওহাব, কৃষকলীগ সভাপতি শাহজাহান বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক উষাজাই চৌধুরী ও ছাত্রলীগ সভাপতি মো. মিজানুর রহমানসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিকলীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
সভার শুরু থেকে তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা দলের হাইব্রিড নেতাদের সম্প্রতিকালে ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থানসহ দল বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় ওইসব বিএনপি-জামাত এজেন্টদের কঠোর সমালোচনা করে তাঁদের সতর্ক করেন। এদের মধ্যে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী , মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী কাজল আক্তার, উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি তালাত মাহমুদ শিশির, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. কোরবান আলী ও ছাত্রলীগ নেতা মো. আলমগীর হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কারের জোরদাবী জানান।
উল্লেখিত ৫ নেতাকে বহিষ্কার করা না হলে আগামী সাংসদ নির্বাচনে দলের ভরাডুবিসহ এই জনপদে আওয়ামী লীগের নাম নিশানা মুছে যাবে বলেও সতর্ক করেন ত্যাগী ও সুবিধাবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এ সময় বর্ধিত সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীরা হাইব্রিড ও বিতর্কিতদের বহিষ্কারের বিষয়ে উপস্থাপিত দাবীর প্রতি সমর্থন দিয়ে শ্লোগান দেন।