লক্ষ্মীছড়ি-বর্মাছড়ি সড়কের নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ ২বছরেও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার

 UeUeU

মোবারক হোসেন, লক্ষ্মীছড়ি:

লক্ষ্মীছড়ি-বর্মাছড়ি সড়ক। এই সড়কটি চালু করা জনসাধারণের দীর্ঘ দিনের দাবি। এই দাবির কথা বলতে বলতে এখন অনেকটাই ক্লান্ত এলাকার মানুষ। জোন সদরে আইন-শৃঙ্খলা সভা,উপজেলা সমন্বয় সভাসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা সংসদ সদস্যসহ সকলের কাছেই দাবি ছিল লক্ষ্মীছড়ি-বর্মাছড়ি সড়কটি চালু করতে অর্ধ নির্মিত ব্রিজগুলোর কাজ যেন দ্রুত শেষ করা হয়। কাজের কাজ কিছুই হয় নি। গত ২ বছর ধরে ব্রিজের কাজ বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারদের অভিযোগ কাজ কারলেও বরাদ্দ না থাকায় বিল পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় আদৌ সহসা ব্রিজের কাজ শুরু হবে কিনা এ নিয়ে এলাকাবাসীর মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

অনুন্নত,অবহেলিত,পশ্চাৎপদ হাজার বছর পিঁছিয়ে পড়া এক ইউনিয়নের নাম বর্মাছড়ি। অনুন্নত সড়ক যোগাযোগ ও সহজ যাতায়াতের ব্যবস্থা না থাকায় এখানে উৎপাদিত কৃষি পণ্য বিশেষ করে কলা, হলুদ, আদাসহ বিভিন্ন শাকসব্জি পরিবহনের অভাবে জমিতেই নষ্ট হয়ে যায়। লক্ষ্মীছড়ি, দুল্যাতলী ও বর্মাছড়ি নিয়ে ৩টি ইউনিয়ন। লক্ষ্মীছড়ি সদর ও দুল্যাতলী ইউনিয়নের সাথে কিছুটা যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলেও বর্মাছড়ি ইউনিয়নের সাথে একেবারেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। শুকনা মৌসুমে অসখ্য ছড়া খাল পেড়িয়ে মোটর সাইকেল কখনো কখনো জীপ গাড়ি(চাঁদের গাড়ি) চলাচল করে থাকে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে তা একেবারেই সম্ভব নয়। ফলে ২০-২৫ কি: মি: রাস্তা পাঁয়ে হেঁটেই চলাচল করতে হয়।  

এ উপজেলার আয়তনের ২’শ ২০বর্গ কি.মি. মধ্যে বিশাল একটি অংশই বর্মাছড়ি ইউনিয়ন নিয়ে। বর্মাছড়ি ইউনিয়নের সীমানার দক্ষিণ-পূর্বে রাঙ্গাঁমাটি জেলার নানিয়ারচর ও কাউখালী উপজেলা, পশ্চিমে চট্টগ্রাম জেলার কাঞ্চন নগর ফটিকছড়ি উপজেলা। লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা রাঙ্গাঁমাটির কাউখালী নিকটবর্তী দুই উপজেলার সীমানা হলেও অনুন্নত সড়ক যোগাযোগের না থাকার কারণে যাতায়াত করতে হয় চট্টগ্রামের হাটহাজারি হয়ে প্রায় ১১০ কি: মি: পথ পাড়ি দিয়ে।

লক্ষ্মীছড়ি-বর্মাছড়ি কাউখালী উপজেলা হয়ে রাঙ্গাঁমাটির এ সড়কটি চালু হলে দুরুত্ব কমবে প্রায় অর্ধেক। এখানকার মানুষলে স্বপ্ন ছিল পর্যটন নগরি রাঙ্গামাটির সাথে অচিরেই সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হবে। সেই লক্ষ্যেই পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড লক্ষ্মীছড়ি-বর্মাছড়ি সড়কে ব্রিজ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন কারর উদ্যোগ নেয়। কিন্তু গত ২ বছর ধরে মুক্তাছড়ি খাল, জয়পতি ছড়া, গুইছড়ি ছড়া, শুকনাছড়ি খাল এবং মরাচেঙ্গী ব্রিজের কাজ শেষ করতে পারে নি। প্রতিটি ব্রিজের কাজ অর্ধেক করে ফেলে রাখা হয়েছে।
জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে লক্ষ্মীছড়ি’র বর্মাছড়ি ইউনিয়নের সাথে সহজ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করতে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন এমনটাই আশা করছে এলাকাবাসী।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন