parbattanews

লক্ষ্মীছড়ি-বর্মাছড়ি সড়কে তিনটি ব্রিজ নির্মাণে উদ্যোগ নিয়েছে এলজিইডি, অপেক্ষা আঞ্চলিক পরিষদের অনুমোদনের

Khagrachari Picture(02) 16-01-2017 (1) copy
বিশেষ প্রতিবেদক, লক্ষ্মীছড়ি থেকে ফিরে :
খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি-বর্মাছড়ি সড়কে নির্মাণাধীন তিনটি ব্রিজ ও সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে এলজিইডি। ইতোমধ্যে সড়কের সার্ভের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আঞ্চলিক পরিষদের অনুমোদন পেলে টেন্ডার আহবান করা হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল হক। অসমাপ্ত ব্রিজগুলো ও সড়কটির কাজ সম্পন্ন হলে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার বর্মাছড়ি ইউনিয়নে ১৬টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের দীর্ঘ দিনের দুর্ভোগের অবসান হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে লক্ষ্মীছড়ি-বর্মাছড়ি সড়কের মরাচেঙ্গী গুঘাট, ডান্দি ছড়া ও মরাচেঙ্গী ছড়ার উপর তিনটি ব্রিজ নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৭৮ লাখ ৩২ হাজার ৭৬ টাকার মরাচেঙ্গী রেংগুঘাট ব্রিজের নির্মাণ কাজের দায়িত্বে পান পারিশা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে মানিকছড়ি উপজেলার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বাবুল, ৭২ লাখ ২৮ হাজার ৪৮৫ টাকার ডান্দি ছড়া ব্রিজ কাজ পান আমিন বাদ্রাস ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সত্বাধীকারী খাগড়াছড়ির মাহবুবুর রহমান মোহন ও ৭৮ লাখ ৩২ হাজার ৭৬ টাকার মরাচেঙ্গী ছড়ার উপর ব্রিজ নির্মাণের দায়িত্ব পান বাতায়ন দেওয়ান। কিন্তু ব্রিজ তিনটি অসমাপ্ত রেখে ঠিকাদাররা কাজ বন্ধ করে দেন।

একটি সূত্র জানায়, আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ’র চাঁদাবাজি ও পর্যাপ্ত রবাদ্দ না থাকায় ঠিকাদাররা ব্রিজের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন।

ডান্দি ছড়া ব্রিজের ঠিকাদার মাহবুবুর রহমান মোহন জানান, ব্রিজের প্রায় ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বিপরীতে বিল পেয়েছেন, ২৮ লাখ টাকা। কিন্তু পরবর্তীতে চাঁদাবাজি আর বরাদ্দ না দেওয়ায় ব্রিজের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না।

লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার দুর্গম ইউনিয়ন বর্মাছড়ি। পায়ে হাঁটাপথ প্রায় ২৬ কিলোমিটার। এই ইউনিয়নের ১৬টি গ্রামে প্রায় ১১ হাজার মানুষের বসবাস। এখানে রয়েছে ৮টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪টি উচ্চ ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।

বর্মাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রতুল কান্তি চাকমা জানান, বর্মাছড়ি যাতায়াতের মাধ্যম হচ্ছে চাঁদের গাড়ী ও মোটরসাইকেল। বর্ষা মৌসুমে তাও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এলাকাবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। কৃষক উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না।

সাবেক লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান দশরথ তালুকদার জানান, বর্মাছড়ি সড়কের তিনটি ব্রিজসহ সড়কটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে লক্ষ্মীছড়ি-রাঙামাটি সড়কের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার কমে যাবে।

খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল হক জানান,পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড অসমাপ্ত ব্রিজসহ সড়কের নির্মাণ কাজ এলজিইডি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে সড়কের সার্ভেও সম্পন্ন হয়েছে। ব্রিজ ও সড়ক নির্মাণের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলে দ্রুত টেন্ডার আহ্বান করে কাজ শুরু করা হবে।

Exit mobile version