লক্ষ্মীছড়ি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহতের ঘটনায় মামলা হয়নি: গুলিবিদ্ধ আহত রঞ্জন চাকমা সুস্থ
লক্ষ্মীছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহতের ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয় নি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত লক্ষী রঞ্জন চাকমা(জীতেন) সুস্থ আছে বলে জানা গেছে। তার ডান হাত থেকে অপারেশন করে ২টি গুলি বের করেছে ডাক্তার।
এদিকে নিহত জনসংহতি সমিতি কর্মীর প্রকৃত নাম হলো মংসাজাই মার্মা। বয়স ৩৫। পিতার নাম মংরে মার্মা, মানিকছড়ি উপজেলার দক্ষিণ হফাছড়ি বাড়ি বলে জানা গেছে। তবে এর আগের বাসস্থান কাপ্তায়ের চন্দ্রঘোনা নারিঙ্গিনী পাড়ায় ছিল বলে সূত্রে জানা গেছে। ৬ মার্চ রবিাবর নিহতের লাশ ময়না তদন্ত শেষে বিকাল ৫টার দিকে শিলাছড়ি এলাকায় দাহ করা হয়। এ সময় নিহতের স্ত্রী, আত্মীয়-স্বজন ও জনসংহজতি সমিতি (জেএসএস) কর্মী সমর্থকরা দাহ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। গাড়ি সংকটের কারণে ঘটনার দিন লাশ মর্গে পাঠাতে না পেরে পর দিন সকালে খাগড়াছড়ি মর্গে পাঠানো হয়।
৫ মার্চ শনিবার দুপুর দেড় টার কিছু আগে বেলতলী পাড়া এলাকায় ধুরুং খালে উপজাপতীয় সন্ত্রাসীরা গুলি করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নেয়ার পর জেএসএস কর্মী মংসাজাই মার্মা মারা যান। রবিবার সন্ধায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয় নি বলে পুলিশ জানান। তবে কোন অভিযোগ পাওয়া না গেলে অবশেষে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা রেকর্ড হতে পারে বলে জানান, লক্ষ্মীছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস.আই বাহার।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। জনসংহতি সমিতির লক্ষ্মীছড়ি শাখার আহবায়ক জ্যোতিশ দেওয়ান এ প্রতিনিধির কাছে অভিযোগ করে বলেন, ইউপিডিএফ পরিকল্পিত ভাবে জেএসএস’র কার্যক্রম স্থবির করে দিতে চায়। এই নিহতের ঘটনা ইউপিডিএফ’র সন্ত্রাসী কর্তৃক দাবি করে এর সুষ্ঠু বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। ইউপিডিএফ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বোরকা পার্টির আভ্যন্তরীণ কোন্দল বলে পাল্টা অভিযোগ করেন খাগড়াছড়ি ইউপিডিএফ’র জেলা ইউনিটের প্রচার ও প্রকাশন বিভাগের নিরন চাকমা স্বাক্ষারিত এক প্রেস বার্তায়।
এদিকে ঘটনার পর এলাকার পরিস্থিতি থমথমে অবস্থা বিরাজ করলেও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরবর্তী অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন স্থানে সেনা ও পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।