লক্ষ্যমাত্রার তিনগুন বেশি অর্জন করেছে পানছড়ির একটি বাড়ি একটি খামার

নিজস্ব প্রতিবেদক, পানছড়ি:

গত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের তুলনায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিনগুন বেশি তহবিল অর্জন করেছে পানছড়ির একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প।

জানা যায়, গত বছর সদস্য সঞ্চয় ছিল আট লক্ষ উনপঞ্চাশ হাজার টাকা আর প্রাপ্য তহবিল ত্রিশ লক্ষ নিরানবব্বই হাজার টাকা। এ বছরে সদস্য সঞ্চয় ত্রিশ লক্ষ টাকা আর প্রাপ্য তহবিল এক কোটি আঠার লক্ষ তেত্রিশ হাজার টাকা। পূর্বে সদস্য সংখ্যা পাঁচশতের তুলনায় বর্তমানে তিনগুন বৃদ্ধি পেয়ে সদস্য সংখ্যা হয়েছে এক হাজার দুইশত জন।

একটি বাড়ি একটি খামার অফিস সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্পের উন্নয়নের মূল কারিগর বর্তমান প্রকল্প সমন্বয়ক মো. রফিকুল ইসলাম। যিনি সকল সদস্যদের নিয়ে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অফিসে নিরলস সময় দিয়ে এই প্রকল্পটিকে জেলার সর্বোচ্চ তহবিলের রেকর্ড গড়েছেন। এমন একজন নিষ্ঠাবান ও কর্মঠ অফিসার থাকলে যে কোন অফিসেই প্রাণ ফিরে আসবে বলে অনেকেই জানায়।

একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের পানছড়ি উপজেলা সমন্বয়ক মো. রফিকুল ইসলাম জানায়, লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা আমার দায়িত্ব। সরকার আমার উপর যে দায়িত্ব অর্পণ করেছে তা আমি পালন করেছি মাত্র। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আবুল হাশেমের আন্তরিকতা ও একান্ত সহযোগিতায় দরিদ্র মানুষের জন্য এ অর্থবছরে জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি তহবিল পাওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানান।

পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম জানান, তিনি একজন কর্মঠ সমন্বয়ক। নিয়মিত এবং যথা সময়ে অফিসে হাজির থাকা তাঁর সবচেয়ে ভালো গুন। নিজে শ্রম দিয়ে এবং সহযোগীদের ভালোবাসা দিয়ে কাজ আদায় করে নিয়েই তিনি জেলার সেরা অবস্থানে আছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, উপজেলা সমন্বয়ক মো. রফিকুল ইসলাম পানছড়িতে যোগদান করেছেন ১৭ আগস্ট ২০১৭ তারিখে। বছর না ফুরাতেই তদবিরের মধ্যেমে তাঁকে অন্যত্র বদলী করে অত্র কর্মস্থলে আসার জন্য কেউ কেউ ইতিমধ্যে উঠে পড়ে লেগেছে। যা প্রকল্পের উন্নয়নে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সু-দৃষ্টি কামনা করছে পানছড়ির অভিজ্ঞ মহল।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন