লামায় ইউপি চেয়ারম্যান জসিমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

fec-image

বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন কোম্পানীর (৪৫) বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত ৪ মে লামার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মো আবুল কালাম বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনসহ ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

বাকী ৩ জন হচ্ছে আজিজনগরের চেয়ারম্যান পাড়ার সাধন দেবের ছেলে রনি কুমার দেব (২৬) একই এলাকার আব্দুর বারেকের ছেলে মো. আলমগীর এবং আজিজনগর ইসলামপুর ৪নং ওয়ার্ডের মৃত আলতাফ মিয়ার ছেলে মো. মোস্তাক।

মামলার আর্জিতে বাদী অভিযোগ করেন, তার বাবা মারা যাওয়ার পর পৈত্রিক সম্পত্তি তার মা-বোনকে নিয়ে উত্তরাধিকার সূত্রে ৩০৭নং চাম্বি মৌজার ২৯নং হোল্ডিং এর জায়গাগুলো দীর্ঘ দিন ধরে চাষাবাদ ও ভোগ করে আসছে।

কিছু জায়গা জাহাঙ্গির নামক এক পার্শ্ববর্তী দখল করে নিয়ে নেওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে নালিশ দিতে যায় বাদী আবুল কালাম।

আজিজনগর ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে চেয়ারম্যান মামলার বাদীকে বলেন আমার বিচার মানতে হলে ৩০০ টাকা খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করতে হবে।

বাদী আবুল কালাম অপারগ হয়ে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনসহ তার সাঙ্গ পাঙ্গরা দাঁড়িয়ে থেকে জায়গা দখল করে নিজেরাই নিয়ে নেয়।

বাদী আবুল কালাম যখন জায়গার দখল তাকে বুঝিয়ে দিতে বলে তখন শুরু হয় বাক বিতন্ডতা। চেয়াম্যান জসিম উদ্দিন হুট করে দাবি করে বসে ৪ লক্ষ টাকা চাঁদা।

দখল করা জায়গা বাদী বুঝে পাবে না যদি না চেয়ারম্যানকে ৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। বরং খালি স্প্যাম্পে চেয়ারম্যানসহ মামলায় উল্লেখিত আসামীগনের নাম বসিয়ে নিয়ে তারা নিজেরাই ভোগ করবে।

সম্প্রতি বাদী আবুল কালামের হঠাৎ নগদ টাকার প্রয়োজন হওয়ায় তার নামীয় অংশের জমি হতে জনৈক ব্যক্তি রবিউল ইসলাম তারেককে ৪ শতক জমি বিক্রি করে।

ক্রেতা তারেক তার জমি বুঝে নিয়ে ইট দিয়ে বাউন্ডারী দেয়াল দিতে গেলে আজিজনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন তার লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে তারেকের বাউন্ডারী দেয়াল ভেঙে ফেলে এবং নির্মাণ শ্রমিকদের মারধর করে।

মামলার বাদী আবুল কালাম তাদের তান্ডব দেখে ভয়ে পালিয়ে যায়। এছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন মুঠোফোনে মামলার বাদী আবুল কালামকে অকথ্য ভাষায় হুমকি-ধামকি ও গালাগালি করে বলেও অভিযোগ করেন ।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, আবুল কালামের জায়গা বেদখল ছিল বিচার দেয়ায় সেটি সমাধান করে তার জায়গা মেপে তাকে বুঝিয়ে দিয়েছি।

সে যাদের মাধ্যমে আমার কাছে এসেছিল তার জায়গা বুঝে পেলে সে তাদেরকে খুশি করে টাকা দিবে বলেছিল এখন সে তাদেরকে টাকা না দেয়ায় তারা আমার কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিচ্ছে তাই আমি তাকে বলেছি তাদের সাথে সমাধান করতে।

সে কথা ফোন রেকর্ড করে কাট ছাট করে এখন আমার নামে অপপ্রচার করছে আমি টাকা চাইছি।

এটি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে করেছে কেন না সামনে নির্বাচন তাই আমার দূর্নাম করতে বিরোধী পক্ষের কেউ তাকে উস্কানী দিয়ে আমার নামে আদালতে অভিযোগ করেছে।

আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে যদি আমি দোষী হয়ে থাকি তাহলে তদন্তে তা বেরিয়ে আসবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন