parbattanews

লামার ইয়াংছা ও মিরিঞ্জায় ৩ ডিপোতে কয়েক হাজার অবৈধ কাঠ পাচারের অপেক্ষায়

লামা বন বিভাগের আওতাধীন মিরিঞ্জা ও ইয়াংছা হেডম্যান পাড়া এলাকায় ৩টি জোত পারমিটের কাঠের ডিপোতে কয়েক হাজার ঘনফুট কাঠ অবৈধভাবে মজুদ করার অভিযোগ উঠেছে। জোত পরমিটের চলাচল পাশদিয়ে ডিপোগুলোতে মজুদ কৃত এই সকল কাঠ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করা হবে বলে জানাগেছে।

ইয়াংছা এলাকার পরিবেশ সচেতন মহল জানিয়েছে, জোত পারমিটের এই সকল ডিপো গুলো অবৈধ কাঠ ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেট ব্যবহার করে প্রতিদিন কাঠ পাচার করে আসছে।

স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ এর বর্ননামতে জানা যায় কিছু কাঠ ব্যাবসায়ী ব্যাক্তমালিকানাধীন বাগান ক্রয় করে জোত পারমিট অনুমোদন নেন। জোত পারমিটে বর্নিত জায়গা ছাড়া অন্য বাগানের কাঠ কাটার অনুমোদন না থাকলেও জোত পারমিটের ব্যাবসয়াীরা এই নিয়ম মানছে না। অন্য বাগানের কাঠ অবৈধভাবে সংগ্রহ করে ডিপোতে মজুদ করে সাইজ লিস্ট বানিয়ে জোতের বিপরীতে চলাচল পাশ সংগ্রহ করা হয়।

অভিযোগে আরও জানা গেছে, একবার জোত পরমিট ইস্যু করাতে পারলে সেই জোত পারমিট দেখিয়ে কয়েক বছর ধরে ডিপোতে অবৈধ কাঠ মজুদ করা হচ্ছে।

ইয়াংছা মৌজার শামুক ছড়া, কাঠাল ছড়া, মিরিঞ্জার আশপাশ, বনপুরসহ বিভিন্ন এলাকার বাগানের কাঠ বনবিভাগের অনুমোদন ছাড়া ৩টি ডিপোতে প্রথমে মজুদ করা হয়। পরে সাইজ লিস্ট বানিয়ে জোত পারমিটের টিপি বা চলাচল পাশ সংগ্রহ করে পাচার করা হয় বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে। ডিপো গুলোর অবস্থান হলো ইয়াংছা হেডম্যান পাড়া সংলগ্ন ও মিরিঞ্জা এলাকায়।

সরজমিন পরিদর্শনে কয়েকজন স্থানীয় কাঠ ব্যাবসায়ী জানান, তারা বিভিন্ন জন থেকে বাগানের গাছ ক্রয় করে জোত পারমিটের ডিপোগুলোর মালিকের নিকট বিক্রি করেন। অবৈধ উপায়ে আহরিত এই সকল কাঠ কেউ জাতে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে সেই জন্য জোতের নাম ব্যবহার করা হয়।

লামা সদর রেঞ্জ অফিসার আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিপোতে জোতের বাহিরের কোন কাঠ মজুদ করার সুযোগ নাই।তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Exit mobile version