লামার নারী উদ্যোক্তা তাওহিয়া পেলেন ‘বিজনেস অফ দ্যা ইয়ার’ অ্যাওয়ার্ড

fec-image

দেশ ও জাতির কল্যাণে নারীরাও অবদান রাখতে পারেন! তবে উচ্চতর ডিগ্রি নিলেও অধিকাংশ নারীরা ব্যস্ত হয়ে যান ঘর সামলাতে। অনেকে আবার চেষ্টা করেন ভিন্ন কিছু করতে। এমনি এক নারী উদ্যোক্তার নাম তাওহিয়া সুলতানা রেশমী। তিনি অনলাইনে সিগনেচার প্রোডাক্ট, নকশি খাতা আর পাহাড়ি জুমের বিন্নি হলুদ এবং জুমের সিজনাল সকল অর্গানিক পণ্যের ব্যবসায় সফল হয়েছেন।

তাওহিয়া সুলতানা রেশমী বান্দরবান জেলার লামা পৌরসভা এলাকার মধুঝিরি গ্রামের ব্যবসায়ী এসএম আবু তাহের ও রাজবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজিয়া বেগমের মেয়ে।

রাজধানী ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ‘উই সামিট-২০২২’ শেষে দেশের ৬৪ জেলা থেকে মাত্র ১০ জন নারীকে ১০টি ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে জয়ী অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে ১৩ লাখ নারী উদ্যোক্তার প্লাটফর্ম ‘উইমেন এন্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট (উই)’। এর মধ্যে ‘বিজনেস অফ দ্যা ইয়ার’ ক্যাটাগরিতে জয়ী অ্যাওয়ার্ড পান পাহাড়ের তাওহিয়া সুলতানা রেশমী।

শনিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহম্মেদ পলক ও ‘উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট উই’ এর প্রেসিডেন্ট নাছিমা আক্তার নিশা এই অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে ফুড পান্ডা এর সিইও আন্বারিন রেজা, ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার, উই প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা এবং উই এর ওয়ার্কিং কমিটি ডিরেক্টর ইমানা হক জ্যোতি উপস্থিত ছিলেন। আগের দিন উই সামিট-২০২২ এর উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

এছাড়া, গত ২৬ আগস্ট তাওহিয়া সুলতানা রেশমী ‘উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট (উই) কর্তৃক চট্টগ্রামে আয়োজিত ডিভিশনাল মিটআপ-২২ এ লাখপতি অ্যাওয়ার্ডও পান। সফল উদ্যোক্তা রেশমীর পাশাপাশি বান্দরবান জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আরো ১৫ থেকে ২০ জন নারী ই-কমার্সের মাধ্যমে ট্রেনিং করে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে কাজ করছেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে রিমা শাহরিয়ার, ফাতেমাতুজ জহুরা রাফি, ইয়াসমিন জনি ও সীমা দত্ত অন্যতম।

এ বিষয়ে অভিমত ব্যক্ত করে উদ্যোক্তা তাওহিয়া সুলতানা রেশমী বলেন, সামাজিক ব্যবস্থায় নারীরা এখনো পিছিয়ে রয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে নারীরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছেন না। তাই ইচ্ছে আছে পিছিয়ে পড়া নারীদের কল্যাণে সহায়তায় ও প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করার।

তিনি আরও বলেন, লামা উপজেলায় অনেক নারী ডিজিটাল ই-কমার্স থেকে এখনো দূরে আছে, তাদের ডিজিটাল ই-কমার্সের আওতায় ট্রেনিং এর মাধ্যমে এগিয়ে নিতে কাজ করব। জয়ী অ্যাওয়ার্ড প্রদান করায় উই প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন রেশমী।

অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, তাওহিয়া সুলতানা রেশমীর অ্যাওয়ার্ড অর্জন লামাবাসীর জন্য গর্বের বিষয়। আশা করি তার দেখাদেখি পিছিয়ে পড়া অন্য নারীরাও ব্যবসার মাধ্যমে এগিয়ে যাবে

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন