parbattanews

লামার ফাঁসিায়াখালিতে ৫ লক্ষ ঘনফুট পাথর আটক

লামা (বান্দরবান) বনপুর ও কাঁঠাল ছড়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরের টিম।

 

লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালি ইউনিয়নের কাঁঠাল ছড়া ও বনফুল এলাকায় উপজেলা প্রসাশন এবং পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে অভিযান পরিচলনা করে ৫ লক্ষাধিক ঘনফুট পাথর অবৈধ ভাবে মজুদ পেয়েছে। এই সকল পাথর অবৈধ ভাবে উত্তোলন ও পাচার কাজে ২৫ জনের অধিক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট জড়িত বলে স্থানীয় লোকজন অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন।

বুধবার(১২ জুন) লামা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত সিদ্দিকা, পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবান জেলার সহকারী পরিচালক একেএম সামিউল আলম কুরসী ও পরিদর্শক নাজনিন সুলতানা নিপা দিনব্যপী যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের বান্দরবান জেলার সহকারী পরিচালক একেএম সামিউল আলম কুরসী জানান, সরজমিন পরির্দশনে ফাঁসিয়া খালি ইউনিয়নের স্থানীয় লোকজন তাদেরকে জানায় চলতি মৌসুমে বনপুর, সমুখাল, পাইকঝিরি, হরিনঝিরি, এলাকায় ৮/১০ জনের একটি সিন্ডিকেট ৮ লক্ষাধিক পাথর অবৈধভাবে উত্তোলন করে।  তার মধ্য থেকে ৬ লক্ষ্যাধিক ঘনফুট পাথর অবৈধভাবে পাচার করেছে।

এই সকল এলাকায় বর্তমানে আরো আনুমানিক ২ লক্ষ ঘনফুট পাথর অবৈধভাবে পাচারের জন্য মজুদ রয়েছে। একই সময়ে ১৫ জনের অপর একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট কাঁঠাল ছড়া, সামুকছড়া, বাঁশখাইল্লার ঝিরি, সমুখালের আগা, বদুরঝিরি, হরিন ঝিরি ও সামুক ঝিরি হইতে ৯ লক্ষাধিক পাথর অবৈধভাবে উত্তোলন করে ৬ লক্ষাধিক ঘনফুট পাথর অবৈধভাবে পাচার করেছে। এই সকল এলাকায় পাচারের জন্য আরো ৩ লক্ষাধিক ঘনফুট পাথর মজুদ রয়েছে।

সহকারী পরিচালক আরো জানান, অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও পাচারকারীদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে নিয়মিত মামলা রুজুর প্রস্তুতি চলছে। লামা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত সিদ্দিকা জানান অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও পাচার করে পরিবেশের ক্ষতিকারক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে সংশ্লিষ্ট বিভাগ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

উল্লেখ যে, অবৈধভাবে পাথর পাচারের বিষয়ে দৈনিক ইত্তেফাকে গত ৩১ মে সচিত্র রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। অভিযানে লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আশরাফুজ্জামানসহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করেন।

Exit mobile version