লামায় অবৈধ পাথর উত্তলনে একজনের মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা কাঁঠালছড়া এলাকার অবৈধ পাথর কোয়ারিতে মো. ইসা (১৮) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রবিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় বিষয়টি অনেক পরে জানাজানি হয়।
ঘটনার পরপরই বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পাথর সিন্ডিকেটের লোকজন নিহতের লাশটি পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার দক্ষিণ কাকারা নিয়ে যায়। তারা কাউকে না জানিয়ে লাশের দাফন করার চেষ্টা করে। তবে নিহতের পরিবারের দাবী ইসা’কে পাথর উত্তোলনের কথা বলে ডেকে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
জানা যায়, নিহত মো. ইসা কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার দক্ষিণ কাকারা ৭নং ওয়ার্ডের মৃত আহমদ নবী ও মাতা মৃত মোহসানা বেগম এর ছোট ছেলে। তারা মোট ৬ ভাইবোন। ৪ বোন ২ ভাই। সকলের ছোট ছিলো মো. ইসা।
মৃত মো. ইসা’র বোন বলেন, আমার ভাইয়ের মৃত্যুর পরে ড্রাইভার মন্নান এর বড় ডাম্পারে করে ভাইয়ের লাশ কাঁঠালছড়ায় আনা হয়। তখন সাথে তিনজন শ্রমিক ছিল। তারা জানতে চাইলে প্রথমে গাড়িতে লাশ নাই বলে অস্বীকার করে।
পরবর্তীতে আমার চাচা ও এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপ করে গাড়ি তল্লাশী করলে কালো পলিথিনে মোড়ানো লাশ গাড়ীর একপাসে পাওয়া যায়। যে গাড়িতে লাশ পাওয়া যায় সেটি সবুজ-কালো রংয়ের গাড়ি। লাশ ও ড্রাইভারকে রাত ২টা ৩০ মিনিটে চকরিয়া পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।
এবিষয়ে রাতেই কথা হয় লামা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শিবেন বিশ্বাস এর সাথে। তিনি বলেন, আমরা রাত ১০টার দিকে বিষয়টি জানতে পারি। সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, নিহত ইসার লাশ রাতেই তার বাড়িতে নেয়া হয়। ইসার বাড়ি চকরিয়া থানার আওতাধীন হওয়ায় লাশের সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের কাজ চকরিয়া থানা করছে। অপরদিকে ঘটনাস্থল লামা থানায় হওয়ায় আইনী প্রক্রিয়া (মামলা) লামা থানায় করা হবে।