লামায় আলমগীর সিকদার হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার; ৭ দিনের রিমান্ড
লামা উপজেলার সরই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলমগীর সিকদার হত্যা মামলার প্রধান আসামী সাইমন ত্রিপুরাকে (২৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আটকের পর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। তার রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আলমগীর সিকদার হত্যার ঘটনায় নিহতের ছোটভাই দস্তগীর সিকদার বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ৩ জন ও অজ্ঞাত ৬ জনকে আসামী করে লামা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা জানান, ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একটি সিন্ডিকেট ভাড়াটিয়া খুনির মাধ্যমে এই হত্যাকান্ড ঘটায়। স্থানীয় জনগণের সহায়তায় মামলার প্রধান আসামী সাইমন ত্রিপুরাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সাইমন ত্রিপুরা পুলিশের নিকট স্বীকার করেছে এই হত্যাকান্ডে সে সহ মোট ৩ জন সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে। একটি গ্রুপ তাদেরকে ভাড়ায় এনেছে। গ্রেফতার সাইমন ত্রিপুরা থানচি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিদ্যামনি পাড়ার মনিরাম ত্রিপুরার ছেলে।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ আরো জানান, এই হত্যা মামলাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে। পিবিআই এবং সিআইডির বিশেষজ্ঞ টিম হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় ব্যবহৃত দুটি মোটর সাইকেল ও একটি হেলম্যাট এবং দুটি দা আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িতদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। আসামীদের গ্রেফতারে এবং এই ঘটনার সাথে অপরাপর জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। এদিকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত খুনিরা যাতে বিদেশ পাড়ি জমাতে না পারেন এ বিষয়ে সর্তক দৃষ্টি রাখা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে সরই ইউনিয়নের হাছনা ভিটায় নিজ খামার বাড়ি হতে বাড়ি ফেরার পথে দা দিয়ে কুপিয়ে আলমগীর সিকদারকে হত্যা করা হয়। আলমগীর সিকদার সরই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সিকদারের বড় ছেলে। সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সিকদার ও তার স্ত্রী বর্তমানে হজ্ব পালনের জন্য মক্কায় অবস্থান করছেন। ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার বিকালে জানাযা নামাজ পড়ে লাশ দাফন করা হয়। রাতে নিহতের পরিবারের পক্ষে ছোট ভাই দস্তগীর সিকদার লামা থানায় এজাহার দায়ের করলে পুলিশ হত্যা মামলা রেকর্ড করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আমিনুল হক জানান, মামলার অপরাপর আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।