parbattanews

লামায় চাঁদার টাকা না দেওয়ায় উলুফুল ভর্তি ট্রাকে আগুন দেওয়ার অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক:

বান্দরবানের লামায় চাঁদার টাকা না দেওয়ায় দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে উলুফুল (ভাটারি) ভর্তি ট্রাকে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টায় লামা-সুয়ালক সড়কের ডিসি রোড নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

আগুনে পুড়ে যাওয়া উলুফুলের মালিকের নাম সালাউদ্দিন (২৭)। সে লামার পার্শ্ববর্তী বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের পুকুরিয়া খোলা এলাকার মো. কফিল উদ্দিনের ছেলে।

সালাউদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে গজালিয়া ইউনিয়নের লুলাইং এলাকা থেকে এক জিপ উলুফুল কিনে লামা বাজারে আসার সময় রাত ১২টার দিকে লামা-সুয়ালক সড়কের ডিসি রোড এলাকায় পৌছালে গজালিয়া বাজার পাড়ার মো. স্বাধীন, মোহাম্মদ পাড়ার আহাদ আলী গাজীর ছেলে হাফিজুল ইসলামসহ ৩ ব্যক্তি গাড়িটির গতিরোধ করে।

এসময় স্বাধীন উলুফুল গুলো অবৈধ উল্লেখ করে আমার কাছে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। স্বাধীন নিজেকে পুলিশের সোর্স দাবি করে। এমনকি টাকা না দিলে ফুলসহ গাড়িটি পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে ধরিয়ে দিবে বলেও হুমকি দেয়।

আমার কাছে টাকা না থাকায় তাদের লামা বাজারে আসতে বলি। এসময় গাড়ির ড্রাইভার আনোয়ার হোসেন নবী জিপ চালু করে সামনে আসতে গেলে স্বাধীনের সহকারী এসে ড্রাইভারের কলার টেনে মারধর করে এবং টাকা না দিলে গাড়িতে আগুন দেওয়ার হুমকি দেয়।

তখন ড্রাইভার গাড়ি চালিয়ে একটু সামনে আসলেই গাড়ির পিছনে উলুফুলে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

গাড়ীতে আগুন দেখে গাড়িটি মাতামুহুরী নদীতে নামিয়ে দিলে গাড়িটির ক্ষতির পরিমান কমে যায়।

তিনি আরও বলেন, গাড়িতে ১ লাখ ৬৮ হাজার আটি উলুফুল ছিল। যার মূল্য ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা এবং গাড়ি পুড়ে মালিকের ৭৪ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।

ড্রাইভার আনোয়ার হোসেন নবী বলেন, টাকা না দেয়ায় স্বাধীন ও তার লোক আমাকে মারধর করে গাড়িতে আগুন দিয়েছে। এসময় গাড়ির ৭৪ হাজার টাকার অধিক ক্ষতি করে। আমি গরীব মানুষ। গাড়ির মালিকের ক্ষতিপূরণ কিভাবে দিব? গাড়ি নম্বর লট নং-১৭০।

গজালিয়া মোহাম্মদ পাড়ার আহাদ আলী গাজীর ছেলে হাফিজুল ইসলাম বলেন, আমি লুলাইং থেকে আসছিলাম। ডিসি রোডে স্বাধীনসহ আরও ৩ জনকে দেখতে পাই। আমার সামনে স্বাধীন উলুফুলের গাড়িটি ইশারা দিয়ে দাঁড়াতে বলে। তাদের মধ্যে তর্ক হতে দেখে আমি সেখানে আর না দাঁড়িয়ে বাড়িতে চলে যাই।

এই বিষয়ে স্বাধীন বলেন, আমি স্যারের পক্ষে লাইনে টাকা তুলি। সেই টাকা চাওয়ায় তাদের সাথে আমার তর্ক হয়। গাড়িতে আগুন দেয়ার বিষয়টি আমি জানি না। সেখানে আরও কয়েকজন লোক ছিল।

এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। ক্ষতিগ্রস্থরা অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Exit mobile version