(আপডেইট)
স্টাফ রিপোর্টার:
বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় পাহাড় ধ্বসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়াও আরো ১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। একই ঘটনায় আহত হয়েছে ৩ জন। শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
সূত্র জানিয়েছে টানা ১০ দিন ধরে অবিরাম বর্ষণে লামা উপজেলা জনগণ পাহাড় ধসের আশঙ্কায় আতঙ্কিত ছিল। শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে বান্দরবানের লা্মা উপজেলার লামা হাসপাতাল পাড়ায় পাহাড়ের উপর অকষ্মাৎ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। বজ্রপাতের আঘাতে এমসময় পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটলে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থানকারী তিন ঘুমন্ত পরিবারের মধ্যে ৪ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়। একই ঘটনায় আরো দুজন নিখোঁজ রয়েছে। নিহতরা হচ্ছে রোজিনা বেগম( ২৯), আমেনা বেগম (৩০), ও সাগর আহমেদ (১৪), সাজ্জাদ (৪)। কিছুক্ষণ আগে নিখোঁজ দুই জনের মধ্যে বসির আহমেদের(৬০) লাশ পাওয়া গেছে। উদ্ধারকারীদের ধারণা অপর নিখোঁজ ফাতেমা (১০) মাটিচাপা পড়ে মারা গেছেন। তাবে তার লাশ উদ্ধারে জোর তৎপরতা চলছে। গুরুতর আহত ৩ জন হচ্ছে, আরাফাত (১৫), দুলু মিয়া (৭০), জয়তুন বেগম (৬৫)। আহতদের চিকিৎসার জন্য লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে নিহত সাজ্জাদ ও নিখোঁজ ফাতেমা নিহত রোজিনা বেগমের সন্তান।
সেনাবাহিনী ও ফায়ার ব্রিগ্রেড ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। এছাড়াও ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা পরিষদের সদস্য জহিরুল ইসলাম, পৌর মেয়র আমির হোসেন। বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশহ্লা প্রু চৌধুরী ও সদস্য মজিবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে টানা ১০ দিনে বর্ষণে লামা শহরের বিভিন্ন এলাকা এখন ৮-১০ ফুট পানিতে নিমজ্জিত। বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় শহরে ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে। এখানো থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয়রা অপ্রতুল ত্রাণ তৎপরতার অভিযোগ করেছেন।
