parbattanews

লামায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ভোটারদের নির্ধারিত প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিতে বাধ্য করতে পারে

লামা প্রতিনিধি:

লামায় কমিউনিটি পুলিশিং ও ওপেন হাউস ডে সভায় বক্তরা বলেছেন, লামা উপজেলার দূর্গমে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের অবস্থানের কারণে সাধারণ ভোটারদের মাঝে ভীতির সৃষ্টি হতে পারে। সশস্ত্র পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা নিরীহ পাহাড়ি বাঙ্গালী ভোটারদের নির্ধারিত প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রদানে বাধ্য করতে পারে। পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা রোধ কল্পে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে।

শনিবার দুপুরে লামা থানা প্রাঙ্গণে উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি শেখ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার আলী হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন- লামা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবু ছালাম চৌধুরী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তফা জামাল, লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম।

কমিউনিটি পুলিশিং লামা পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, লামা থানার অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা, গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা, লামা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন, রূপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা, উপজেলা পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয় কান্তি আইচ, লামা পৌর পুলিশিং কমিটির সভাপতি মো. রফিক, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন লামা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামালুদ্দিন, লামা রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, গজালিয়া কমিউনিটি পুলিশিং সেক্রেটারি উশৈই জয়, লামা সদর ইউনিয়নের পক্ষে মো. হারুন, ফাঁসিয়াখালী কমিউনিটি পুলিশিং এর পক্ষে গিয়াস উদ্দিন, আজিজনগর কমিউনিটি পুলিশিং সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ আজম খান, ফাইতং ইউনিয়নের কমিউনিটি পুলিশিং এর সেক্রেটারি ওমর ফারুক, গ্রাম পুলিশের পক্ষে মো. রুহুল আমিন, লামা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির পক্ষে মো. মনজুরুল ইসলাম।

সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হোসেন বলেন, জনগণের সহায়তা নিয়ে সকল অপরাধ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ করায় কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্দেশ্য। তিনি আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইন শৃংঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ রাখতে কমিউনিটি পুলিশিং এর সহায়তা কামনা করেন।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মো. মোস্তফা জামাল জানান, পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য কাজ করতে পারে। অস্ত্রের মাধ্যমে ভীতি সৃষ্টি করে ভোটারদেরকে নির্ধারিত প্রার্থীকে ভোট প্রদানে হুমকি প্রদান করতে পারে। তাই পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসী নির্মূল করে ভোটারদের স্বাভাবিক ভোটদান কার্যক্রমে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা একান্ত প্রয়োজন।

লামা থানার অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা জানান, লামা থানা পুলিশ জনগণের সহযোগিতা জানিয়ে মাদক, ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। অনেক আসামিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সহকারী পুলিশ সুপার আবু ছালাম চৌধুরী জানান, ট্রাফিক আইন মেনে যানবাহন চালানোর বিষয়ে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। হেলম্যাট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কোনক্রমেই মোটর সাইকেল চালানো যাবে না।

Exit mobile version