parbattanews

লামা-আলীকদমে বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারণের নামে রাস্তার গাছ কেটে উজাড়

tree cut cmb 07.01

লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি:

বান্দরবানের লামা-আলীকদম উপজেলায় বিদ্যুৎ এর লাইন সম্প্রসারণের নামে রাস্তার পাশের সড়ক সজ্জিতকরণ ও ভাঙ্গন রোধে লাগানো সরকারি গাছ কেটে উজাড় করছে সওজের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহায়তায় একটি সিন্ডিকেট। যেখানে গাছের ডাল-পালা কেটেই বিদ্যুৎ লাইন টানা যায় সেখানে মুনাফার লোভে হাজার হাজার গাছের গোড়া কাটা হচ্ছে। এই গাছ আবার সিন্ডিকেটের হাত ধরে চলে যাচ্ছে ব্রিকফিল্ড এর লাকড়ি হিসেবে করাতকলে।

লামা-আলীকদম সড়কের পাশের বাসিন্দা হরিণঝিরির এলাকার মো. শাহজাহান, মো. রফিক, ছাগল খাইয়া বাজারের জহিরুল ইসলামসহ অনেকে জানায়, বিদ্যুৎ এর লাইন সম্প্রসারণের নামে নির্বিচারে গাছ গুলো কাটা হচ্ছে। যেখানে শুধু গাছের ডাল-পালা কাটলে হয় সেখানে কেন সম্পূর্ণ গাছ কাটা হচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।

চকরিয়া হতে আলীকদম পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার রাস্তায় একইভাবে নির্বিচারে হাজার হাজার গাছ কাটা হচ্ছে। কর্তনকৃত গাছ গুলো নিলাম দিলে বা সরকারি উদ্যোগে বিক্রি করা হলে সরকার কোটি টাকা রাজস্ব পেত। কিন্তু লামা সওজ অফিসের কিছু দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তা কর্মচারীদের লোভের কারণে সরকার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।

এদিকে বুধবার গভীর রাতে গাছ চোররা হরিণঝিরি এলাকার রাস্তার পাশের একটি বড় একাশি গাছ কেটে ফেলে। গাছটি বিদ্যুৎ এর ১১ হাজার ভোল্টের তারের উপর পড়ে তার ছিঁড়ে পড়ায় বুধবার থেকে আলীকদম ও লামা উপজেলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরবর্তীতে সকালে সওজ বিভাগ ও বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনসহ গাছটি অপসারণ করে।

লামা সওজ অফিসের কার্য-সহকারি মো. আবু তাহের গাছ কাটার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দিনে রাতে যে যার মত গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বেশির ভাগ গাছ রাতের বেলায় কাটা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা টাকা নিয়ে কারো কাছে গাছ বিক্রি করিনি।

সওজ বিভাগের বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌ: মো. ইউছুপ এ বিষয়ে বলেন, বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারণের জন্য কাটা সকল গাছ বা লাকড়ি সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। রাস্তার পাশের গাছ যেই কাটে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমার কোন স্টাফ গাছ কাটার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Exit mobile version