parbattanews

লামা-সুয়ালক সড়কে ধস

লামা-সুয়ালক সড়ক

 

বান্দরবান জেলার লামা-সুয়ালক সড়ক মেরামতের ৩ মাসের মাথায় পূণরায় যানবাহন চলাচল ঝুঁকির মুখে পড়েছে। সড়কের শিলের ঝিরি অংশের উভয় পাশে ধসে পড়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে সৃষ্টি হয়েছে বড়বড় গর্তের।

মেরামত কাজে নিম্মামানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, স্পেসিফিকেশন, সিডিউল ও প্রাক্কলন মোতাবেক মেরামত কাজ বাস্তবায়ন না করার কারণে সড়কটি জনদুর্ভোগে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সড়কে চলাচলকারী জনসাধারণ।

বান্দরবান জেলা সদরের সাথে আন্তঃ সংযোগ স্থাপনকারী এই সড়কটির সাথে লামা ও আলীকদম উপজেলার মানুষ চলাচল করে। এছাড়া লামা উপজেলার গজালিয়া, সরই ও আজিজনগরের পূর্ব চাম্বি অংশের লক্ষাধিক মানুষ এই সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরে আসে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বান্দরবান নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সিএইচটি-জিওবি (রক্ষণাবেক্ষণ) প্রকল্পের আওতায় লামা-সুয়ালক সড়কের চেইনেইজ ২০০০ থেকে ৫০০০ মিটার পর্যন্ত ৭৭ লক্ষ টাকা এবং চেইনেইজ ৫০০০ মিটার থেকে ৯০০০ মিটার পর্যন্ত ৬২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২টি প্যাকেজের মাধ্যমে মেরামতের জন্য মেসার্স মিলন ট্রেডার্স নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করে।

গত বছর ২১ এপ্রিল মেরামত কাজ শুরু করে এ বছর মার্চ মাসে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেরামত কাজ সম্পাদন করে চূড়ান্ত বিল গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে।

অভিযোগ উঠেছে কাজ বাস্তবায়নে সিডিউর মোতাবেক কার্পেটিং রোড মেরামত করা হয় নি। এছাড়া টু-ওয়াল ড্রেন নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে। কার্পেটিং মেরামতের থিকনেস সিডিউল মোতাবেক ১২ মিলি দেওয়া হয় নি বলে অভিযোগে জানা গেছে।

সড়কের শিলেরঝিরি নামক স্থানে কালভাট নির্মাণ করা হলেও উভয় পাশের এপ্রোজে প্রোটেকশন ওয়াল দেওয়া হয় নি। চলতি বর্ষা মৌসুমে যেকোন মুহুর্তে লামা-সুয়ালক সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেমার্স মিলন ট্রেডার্সের পক্ষে মুজিবুর রহমান জানান, শিলেরঝিরি এলাকায় কালভার্ট নির্মাণ করে উভয় পাশের এপ্রোজ রোডে মাটি ভরাটের কম্পেকশান না হওয়ায় সড়কে ধস নেমেছে। নরম মাটির উপরে কার্পেটিং সড়ক নির্মাণ করা ঠিক হয় নি।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. নাজিম উদ্দিন জানান, মেরামত কাজ শেষ হলেও আমরা সড়কটি রক্ষণাবেক্ষণ করে যাব। কোন অংশে সমস্যার সৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিক মেরামত করা হবে।

Exit mobile version