parbattanews

পুলিশ লাশ উদ্ধার এসে পেল জীবিত অবস্থায়

000

কক্সবাজার প্রতিনিধি :
কক্সবাজার শহরের কৃষি অফিস সড়কস্থ আবাসিক হোটেল প্রিন্স’এর ৩য় তলায় ২০৩ নাম্বার রুম ভাড়া নিয়েছিলেন গিয়াস উদ্দিন (৩২) নামে এক যুবক। বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার দিকে তিনি রুম নেন। সেই থেকেই তিনি আর রুম থেকে বের হননি। পরেরদিন শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত রুম থেকে বের না হওয়ায় হোটেল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। তারা একাধিকবার দরজায় বাড়ি দেন। কিন্তু রুমের দরজা খুলেননি গিয়াস।

এছাড়া রুমের মধ্যে বাজছিল মোবাইলের রিং। অনেক বার দারজায় বাড়ি দেওয়ার পরেও যখন রুম খুলছে না তখন হোটেলের ম্যানেজার আমান উল্লাহ্ কক্সবাজার সদর থানায় খবর দেন।

খরব পেয়ে বিকাল ৫টায় সদর থানার এসআই মো. হাবিবের নেতৃত্বে প্রথমে একদল পুলিশ আসেন। তারাও অনেকক্ষন দজরায় বাড়ি দেন কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন সকলেই বুঝতে পারেন ভিতরের ব্যক্তিটি মারা গেছে। পরে সদর থানার অপারেশন অফিসার আব্দুর রহিম ঘটনাস্থলে যান। দরজা ভেঙ্গে রুমে প্রবেশ করেন। আর দেখতে পান ওই ব্যক্তি মারা যাননি তিনি ঘুমিয়ে আছেন।

তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ওই যুবক স্বাভাবিকভাবে ঘুমাননি। তিনি বেশ কিছু ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এছাড়া তার বিচানার চাদরেও আত্মহত্যার চেষ্টার কথা লিখেছিলেন। এছাড়া তার মৃত্যুর জন্য কে দায়ী এবং কে দায়ী না তাও লিখেন।গিয়াস উদ্দিন ঈদগাঁহ চফলদন্ডী’র মাইজ পাড়ার মমতাজুল হকের ছেলে।

এ ব্যাপারে অপারেশন অফিসার আব্দুর রহিম জানান, প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে এই যুবক ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। তাকে ঘুম থেকে জাগানো হলেও এখনও স্বাভাবিক হয়নি। তাই তাকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। আর তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে এই আত্মহত্যার চেষ্টাও অপরাধ। তাই তার বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Exit mobile version