parbattanews

শতাধিক মর্টার শেলের বিকট শব্দে কেঁপে উঠলো তুমব্রু

বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম তুমব্রু-মিয়ানমার সীমান্তে এবার শতাধিক মর্টার শেল ও গোলার শব্দে কেঁপে উঠলো তুমব্রু বাজারসহ আশপাশের এলাকা। মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দে বেসামাল হয়ে পড়েছে বাজারের শতশত ব্যবসায়ী ও আশপাশের কয়েক হাজার সীমান্তবাসী। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্যবসায়ী বদিউল আলম।

তিনি বলেন, গত ২ সপ্তাহ ধরে এই প্রথম শত গোলা বর্ষণের ঘটনা ঘটলো। যার ফলে নো-ম্যান্স ল্যান্ডের বসবাসরত সাড়ে ৪ হাজার মানুষ স্ব-স্ব আশ্রয় শিবিরে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।

অন্য এক ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা থেকে ১১টা পযর্ন্ত থেমে থেমে কয়েকটি আর্টিলারি মর্টার বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে সীমান্ত এলাকা। তার কিছু সময় বন্ধ থেকে আবারো কয়েকটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান তারা।

নাইক্ষ‍‍্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম হতে আষারতলী পর্যন্ত, যতগুলো সিমানা পিলার পয়েন্ট রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর অবস্থায় রয়েছে তুমব্রুর ৩৪, ৩৫নং পিলার। এই দুই পিলার এলাকায় সর্বোচ্চ বিস্ফোরণের আওয়াজ ভেসে আসে।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদ‍্যস তুমব্রু এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মো. আলম পার্বত্যনিউজকে বলেন, এলাকার মানুষ এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে। অনেকে রাতে ঘুমাতে পারছেনা, আবার অনেকে রাতের বেলায় সীমান্ত জনপদের নিজ বাড়ি ছেড়ে দূরের স্বজনদের বাড়িতে রাত্রী যাপন করছেন।

ঘুমধুমের স্থানীয় এক মিডিয়া কর্মী পার্বত্যনিউজকে জানান, বুধবারের চেয়ে বৃহস্পতিবারের বিস্ফোরণ হয়েছে বেশি এবং বিস্ফোরিত শব্দ ছিল অনেক ভারী।

তুমব্রু বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হোসেন পার্বত্যনিউজকে বলেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই আতঙ্ক যতদিন না কাটছে ততদিন দিনের বেলাতে কিছু সময় দোকানদারি করব। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার আগের নিয়মে ফিরে আসব।

এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ পার্বত্যনিউজকে বলেন, তিনিও শুনেছেন মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মর্টার শেল ও গোলা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ।

Exit mobile version