রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:
শহীদের আত্মত্যাগের মূল্য কিছুতেই শোধ হবে না। এই আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ নামের একটি দেশ সৃষ্টি হয়েছে। তাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ের কারণেই আমরা আজ স্বাধীন জাতি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছি।
মঙ্গলবার(২৬ মার্চ) স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা এসব কথা বলেন।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবির, পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী কামাল উদ্দিন, পরিষদের সদস্য অমিত চাকমা রাজু, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রবার্ট রোনাল্ড পিন্টু, ডেপুটি কমান্ডার ইকবাল হোসেন চৌধুরী, উপজেলা সাবেক কমান্ডার মিজানুর রহমান প্রমুখ।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু ডাকে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীনে নেমে পরেছিলো বলেই স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশ পেয়েছি। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অপরিসীম। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশ স্বাধীনের লক্ষে সাধারণ মানুষ যেভাবে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরেছিল ঠিক সেভাবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে এবং দেশ থেকে জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, দূর্নীতি নির্মূল করতে মুক্তিযোদ্ধাসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যেতে হবে।
এর আগে সূর্য্যদেয়ের সাথে সাথে রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ৬জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে ৩ হাজার, ৫৯জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ১ হাজার ৫শত এবং ৩০জন মৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের প্রত্যেকের মাঝে ১হাজার ৫শত টাকার প্রাইজবন্ড আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
