‘শান্তিচুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়ন ও পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করা না হলে সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে যথাযথ জবাব দেয়া হবে’
মো: আবুল কাসেম, খাগড়াছড়ি থেকে ॥
‘আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাগড়াছড়িতে আসছেন । জুম্ম জাতির অধিকার আদায়ে আন্দোলনরত জনসংহতির সমিতির সাথে ১৯৯৭ সালে শান্তিচুক্তি সম্পাদন করে আওয়ামীলীগ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে শাক্তিচুক্তির রূপকার হিসেবে আখ্যায়িত করছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নামেমাত্র শান্তির রূপকার হলেও বাস্তবে তিনি শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে আন্তরিক নয়। বরং তিনি সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আমাদেরকে উপজাতি থেকে বাঙ্গালী বানিয়েছেন। শান্তি চুক্তির রূপকার সেজে শান্তি চুক্তির দোহাই দিয়ে তিনি নির্বাচনী জনসভা করতে যাচ্ছেন। এখনও সময় আছে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করার, তা না হলে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীরব ব্যালটের এর যথাযথ জবাব দেওয়া হবে ‘- আজ (রবিবার) সকালে জেএসএস’র প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৩০তম মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত শোকসভায় জেএসএস সংস্কারপন্থী নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন।
বক্তারা আরও বলেন, ‘যে জাতি অধিকার আদায়ের জন্য অস্ত্র হাতে নিয়েছিল, যে জাতি অস্ত্র সমপর্ণ করতে পারে সে জাতি কখনও বৃহৎ গোষ্ঠি থেকে কোন অংশে কম নয়। সারা বিশ্ব এ জাতিকে ভাল ভাবে চিনে। এ হাসিনার সরকার আমাদের বাঙ্গালী আখ্যায়িত করেছেন। শান্তিচুক্তি করে রূপকার সাজিয়ে তিনি আজ জুম্ম জাতির অস্তিত্ব নিয়ে টান দিয়েছেন। অবিলম্বে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের জোর দাবী সহ শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবী জানান’।
সকাল ৯টায় জেলা সদরে চেঙ্গী স্কোয়ারে অবস্থিত লারমা ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও ১ মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচীর সূচনা হয়। সংগঠনের জেলা নেতা প্রীতিময় চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি (সংস্কারপন্থী) সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য সুধাসিন্ধু খীসা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির ভূমি ও আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. শক্তিমান চাকমা।
বিকালে জেলা সদরের মহাজনপাড়াস্থ সূর্য্যশিখা ক্লাবে স্মরণসভা ও সন্ধ্যায় মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার স্মরণে হাজারবাতি প্রজ্জ্বলন ও আকাশপ্রদীপ উত্তোলন করার কর্মসূচী পালন করা হবে।