parbattanews

শান্তি চুক্তি অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে: ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার:

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির প্রতিটি অঙ্গীকার অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে। পার্বত্য শান্তি চুক্তির ১৭ বছর পূর্তির পরদিন বুধবার চট্টগ্রাম সড়ক ভবন থেকে দুইটি সড়ক ও কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের ১০টি সেতু উদ্বোধন করে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির প্রতিটি অঙ্গীকার অক্ষরে অক্ষরে পালিত হবে। এটা প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার।” এছাড়া আগামী চার বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম কক্সবাজারকে ঘিরে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

চট্টগ্রাম সড়ক ভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ‘রাঙামাটি-চন্দ্রঘোনা-বাঙ্গালখালিয়া-বান্দরবান’ ও ‘বাঙ্গালখালীয়া-রাজস্থলী’ সড়ক এবং কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের ১০টি সেতু উদ্বোধন করেন।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের ১০টি সেতু উদ্ধোধন করলেও সেতুগুলো টেকনাফে গিয়ে উদ্বোধনের জন্য মন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছিলেন টেকনাফের সাংসদ আব্দুর রহমান বদি।

এ ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমি কাজে বিশ্বাসী। অনেকে কাজ না করে ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। কাজ শেষে মন্ত্রী আসতে না পারায় উদ্বোধনের জন্য লোকজন সেতু ও সড়ক ব্যবহার করতে পারবে না এটা আমি বিশ্বাস করি না।”

“উদ্বোধন আজ হয়ে যাক। আমি এমনিতে দেখতে যাব,” বলেন সেতু মন্ত্রী কাদের। উদ্বোধনকে আনুষ্ঠানিকতা বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এর জন্য সভা হবে। মাইক বেঁধে বক্তৃতা দিতে হবে। তোরণ হবে, ফুলের মালা দিবে। একটা ‘হোন্ডা মিছিল’ হবে। এসব আমি পছন্দ করি না।”

একটি ব্রিজ উদ্বোধনের জন্য দুই ঘণ্টা সময় লাগে। এ সময়ে দুইটি সড়ক ভিজিট করা যায় বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভের ৬৮ কিলোমিটার সড়কের কাজ এ অর্থবছরে শেষ হবে জানিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, “৬৮ কিলোমিটার কাজ শেষ হলে বাকি থাকবে আর ২৪ কিলোমিটার। এই মেরিন ড্রাইভের কাজ ২৪ বছর ধরে ঝুলে ছিল। এখন এটা দৃশ্যমান, আর স্বপ্ন নয়।”

এ সময় তিনি চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে কর্ণফুলী নদীর ট্যানেল দিয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত আরেকটি মেরিন ড্রাইভ নির্মাণেরও ঘোষণা দেন।

Exit mobile version