parbattanews

শান্তি পরিবহন নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই খাগড়াছড়ির যাত্রী সাধারণের

খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন সড়কে যাত্রী পরিবহনে একমাত্র আন্তঃজেলা বেসরকারি বাস সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে খাগড়াছড়ি বাস মালিক গ্রুপ। এ মালিক গ্রুপ শান্তি পরিবহনের নামে অশান্তি করে রেখেছে এ সড়কের যাত্রীদের। অনেকটা শান্তি পরিবহন সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি জেলা সদর থেকে সব সড়কে যাতায়াত করা যাত্রীরা। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন যাত্রীরা।

জানা গেছে, সম্প্রতি সময়ে খাগড়াছড়ি থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সড়কে বাস সার্ভিস চালুর অনুমতি পেয়েছিল বেসরকারি আরেকটি কোম্পানী। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনকে অনেকটা জিম্মি করে এ আদেশ স্থগিত করে রেখেছে প্রভাবশালী এ সিন্ডিকেট।

সরেজমিন শান্তি পরিবহনের ২ মার্চ বিকেল সাড়ে ৪ টার চট্টগ্রামগামী গাড়িতে দেখা যায়, এক টিকেট একাধিক যাত্রীর কাছে বিক্রি করা হয়েছে। কাউন্টারে বিক্রীত টিকেটের বাইরে পুরো গাড়িতে অতিরিক্ত যাত্রী বসিয়ে ও দাঁড় করে রাখা হয়েছে। আজ বুধবার বিকালে আমাদের এক গণমাধ্যম কর্মী এমন চিত্র প্রত্যক্ষ করেছেন।

চট্টগ্রামগামী এক যাত্রী বলেন, টিকেটে লেখা ছিল গাড়ি ছাড়ার সময় ৪.৩০ মিনিট দেয়া থাকলেও গাড়ি ছাড়তে ছাড়তে ৫টা বেজে যায়। চট্টগ্রাম থেকেও বায়েজিদ কাউন্টার থেকে অক্সিজেন কাউন্টারে ৪০ মিনিট থেকে এক ঘন্টা সময় নষ্ট করা হয়। এ সব দেখার যেন কেউ নাই।

আরেক যাত্রী বলেন, কাউন্টার থেকে টাকা ফেরত দিতে না পেরে সেটি টিকেটে লিখে দেয় বলে গাড়ি থেকে নিতে। গাড়িতে সুপারভাইজারের কাছে টাকা চাওয়া হলে তিনি কাউন্টারে ফোন দিতে বলে জানান, কাউন্টার উনাকে যাত্রীর পাওনা টাকা বুঝিয়ে দেয়নি।

এ সব অভিযোগের বিষয়ে খাগড়াছড়ি বাস মালিক গ্রুপের নেতা রোকন উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগের ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি দীঘিনালা সড়কের ছয়মাইল এলাকায় গাড়ির মুখোমুখি হওয়াকে কেন্দ্র করে শান্তি পরিবহনের মাদকাসক্ত এক চালক জিপ গাড়ির চালক আইয়ুব আলীকে চাপা দিয়ে হত্যা করে। শান্তি পরিবহনের বেপরোয়া মনোভাব লাগাম টানতে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান জেলাবাসী।

Exit mobile version