parbattanews

প্রাথমিক শিক্ষকদের পদোন্নতি হবে: প্রতিমন্ত্রী

ফাইল ছবি

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষকদের আর সারা জীবন একই পদে চাকরি করতে হবে না। তাঁদের পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, যা অনুমোদনের অপেক্ষায়।

রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা পিটিআইয়ে ঢাকা জেলার নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের দুদিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গতকাল বুধবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনলাইন পদ্ধতিতে শিক্ষকদের বদলির প্রক্রিয়া চলমান, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে। সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি করে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টির কার্যক্রম জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন। প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল ১১ এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১৩ গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে।

গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, দক্ষ মানবসম্পদই পারে উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি গঠন করতে। আর সুশিক্ষিত দক্ষ মানবসম্পদ গড়ার কারিগর হলো শিক্ষকসমাজ। শিক্ষকদের দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য সরকার দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছে। এ ছাড়া তাঁদের সামাজিক মর্যাদা বাড়ানোর লক্ষ্যে পদোন্নতিসহ উন্নত বেতন স্কেল দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার ঘোষিত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার মূল চালিকা শক্তি আজকের শিশুরা। তাদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে শিক্ষকদের। শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষকদের ভূমিকা হবে নিজ সন্তানের মতো। শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ ও পুষ্টিমান বাড়ানোর লক্ষ্যে উপবৃত্তি এবং স্কুল ফিডিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘ঘরে বসে শিখি’ অনুষ্ঠান এবং বাংলাদেশ বেতার ও কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে পাঠদান সম্প্রচার করা হচ্ছে। তা ছাড়া শিশুরা ছোটবেলা থেকে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারছে, যা ভবিষ্যতে আইটি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।

শিক্ষকদের ব্রিটিশ কাউন্সিলে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বর্তমান সরকার শিক্ষার সংস্কার, সম্প্রসারণ ও মানোন্নয়নে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নবনিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের তাঁদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের জন্য চাকরির শুরুতে ইন্ডাকশন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাকরিকালীন দায়িত্ব ও পাঠদান কার্যক্রম সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হচ্ছে। মার্কার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা কার্যক্রম গ্রহণ, উত্তরপত্র যথাযথভাবে মূল্যায়ন ও প্রশ্নপত্র কীভাবে প্রণয়ন করতে হয়, সে বিষয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গণিত অলিম্পিয়াড কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের গাণিতিক দক্ষতা বাড়ানোর সম্ভাব্যতা যাচাই শীর্ষক প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং শিক্ষকদের ব্রিটিশ কাউন্সিলে বিদেশি প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে ইংরেজি শিক্ষা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালক মো. ইফতেখার হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মোহাম্মদ মনসুরুল আলম এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালক আতাউর রহমান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. সোহেল আহমেদ ও ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসার আলীয়া ফেরদৌসী বক্তব্য দেন। এ কোর্সে ২০৯ জন শিক্ষক অংশ নিয়েছেন।

Exit mobile version