parbattanews

শীতের তীব্রতা যে কারণে বেড়েছে

সারা দেশে ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা মিলছে না। আজ রোববার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আট দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে। এছাড়া তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল আট দশমিক আট এবং রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গায় নয় দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, গতকাল ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ। আজ তাপমাত্রা বাড়ার পাশাপাশি আদ্রতা বেড়ে ৯৩ শতাংশ হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ সারা দেশেই ঘন কুয়াশা রয়েছে। দুপুরে কিছু কিছু জায়গায় কুয়াশা কেটে যেতে পারে।’

তিন কারণে ঠান্ডার অনুভূতি বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে এসেছে। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। পার্থক্য মাত্র তিন ডিগ্রি সেলসিয়াসের কিছু বেশি।

‘দ্বিতীয় কারণ উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বাতাসের প্রবাহ বেড়েছে এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরে ঘন কুয়াশায় আস্তর তৈরি হওয়ায় সূর্যের আলো আসছে না; ফলে দিনের তাপমাত্রা সেভাবে বাড়ছে না—এই তিন কারণে ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে,’ বলেন তিনি।

কবির বলেন, ‘রাজশাহী, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। কেননা রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, তেমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। সপ্তাহের শেষে বৃষ্টি হলে কুয়াশা কেটে যাবে বলেও জানান তিনি।

Exit mobile version