`শুঁটকি এখন অভিজাত মানুষের ঘরে’

fec-image

শুঁটকি মাছ গরীবের খাবার নয়, এখন অভিজাত মানুষের ঘরে। আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা তৈরি হয়েছে। বাড়ছে কক্সবাজারের শুঁটকির কদর। কিন্তু অনেকে বেশি লাভের আশায় শুঁটকিতে রাসায়নিক দ্রব্য, বিষ, অধিক লবণ মেশায়। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিজেদের অসতর্কতায় শুঁটকির নামে যেন বিষ খাওয়া না হয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ‘উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির মাধ্যমে শুঁটকি মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের প্রসার’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

কোস্ট ফাউন্ডেশন ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম খালেকুজ্জামান।

তিনি বলেন, দেশে জনসংখ্যার সমস্যা এখন আর নাই। সঙ্কট দক্ষতা ও প্রশিক্ষিত জনশক্তির। যে যার কর্মে সৎ, কর্মঠ ও দক্ষ হতে হবে।

সেমিনারের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. সাথীল তালুকদার।

নিরাপদ শুঁটকি মাছ উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক সনদ বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করেন মার্কেটিং প্রমোশন অফিসার অন্তু বিশ্বাস।

নিরাপদ বাজার ব্যবস্থাপনা, শুঁটকি মাছ উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তি নিশ্চিতকরণ, শুঁটকি মাছ উৎপাদনকারী উদ্যোক্তা এবং ভোক্তার স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমানো যায়, সে বিষয়ে তিনি বিভিন্ন তথ্য দেন।

সেমিনারে শহরের নাজিরারটেক, নুনিয়ারছরা, খুরুশকুল, চৌফলদন্ডিতে শুঁটকি উৎপাদন প্রক্রিয়ায় জড়িত নারী-পুরুষরা অংশ গ্রহণ করেন।

কোস্ট ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা বাবুল হোসাইন, নেজামুল ইসলাম, তুষি বনিকসহ সংশ্লিষ্টরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি)’র সহায়তায় ‘উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির মাধ্যমে শুঁটকি মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের প্রসার’ এর মাধ্যমে নিরাপদ শুঁটকি উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করা হচ্ছে, পাশাপাশি নিরাপদ শুঁটকি বাজারজাতকরণে কাজ করে যাচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন