parbattanews

‘শেখ হাসিনা যতোদিন রবে, পাহাড়ে উন্নয়ন হবেই’

খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠনের প্রক্রিয়ায় পাহাড়ি নেতাদের সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। আর পঁচাত্তরের জঘন্যতম হত্যাকান্ডের পর ক্ষমতাসীনরা পাহাড়িদের উপর অত্যাচারের খড়গ চালিয়েছে। ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে ঐতিহাসিক ‘শান্তিচুক্তি’ স্বাক্ষর করে পাহাড়ের বিদ্যমান সমস্যাকে রাজনৈতিকভাবে সমাধানের পথ বেছে নিয়েছেন। বিগত ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতাকালীন সময়ে পাহাড়ের উন্নয়নে তিনি পরম আন্তরিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি পাহাড়ের সব সম্প্রদায়ের প্রতি সমতাভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক উন্নয়ন তারপর তাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পেরেছেন। তাই তাঁকেই আগামী ইলেকশনেও জয়ী করতে হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যতোদিন রবে, ততোদিন পাহাড়ের উন্নয়নের জোয়ার বইবে।

রববিার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মহাললছড়ি উপজেলায় ২নং মুবাছড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড করল্যাছড়িতে মহাকারুনিক বৌদ্ধ বিহার প্রতিষ্ঠার সুবর্ণ জয়ন্তী ও নবনির্মিত ভবনের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বিহার কমিটির সভাপতি সুচারু বিকাশ চাকমা‘র সভাপতিত্বে এবং উৎপল চাকমা ও নলিনী চাকমা’র উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহালছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা, প্রবীণ রাজনীতিক শুভমঙ্গল চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. আশুতোষ চাকমা, জেলা পরিষদ সদস্য নীলোৎপল চাকমা, খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চাকমা, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রতন কুমার শীল, সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, মহালছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল হাসান খান, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাড. সুপাল চাকমা ও এড. সুইলামং মারমা, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য অনন্ত কুমার ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী, মুবাছড়ি মৌজার হেডম্যান খ্যাচিং চৌধুরী এবং মুবাছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অংসাথোয়াই মারমা।

আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি উপস্থিত স্থানীয় জনগণের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করেন।

Exit mobile version