শেষ মূহুর্তে জমে উঠেছে রামগড়ের পশুরহাট
রামগড় প্রতিনিধি:
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে শেষ মহুর্তে জমে উঠেছে রামগড়ের পশুর হাটগুলি। রামগড় উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী বাগান বাজার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্থানীয় কৃষক, ব্যবসায়ী ও খামারীরা গরু ও ছাগল নিয়ে আসছেন রামগড় পৌর ও সোনাইপুল পশুর হাটে।
স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রামগড়ের গরু যাচ্ছে ফেনী, চট্টগ্রামসহ নোয়াখালীর বিভিন্ন পশুর হাটে। ক্রেতারা তাদের পছন্দ ও সাধ্যের মধ্যে গরু ক্রয় করতে পেরে খুশি, তবে বিক্রেতারা পর্যাপ্ত দাম না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন। এখানে ছোট ও মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি।
বাগানটিলার দেলোয়ার হোসেন, রামগড়ের এমদাদুল হক জানান, গত বছরের তুলনায় এবারের কোরবানির পশুর দাম কম। ব্যবসায়ীদের মধ্যে মাঝারি ও সুঠাম গরুর প্রতি বেশি চাহিদা লক্ষ করা গেছে।
বাজার ইজারাদার মোঃ ইউনুছ পর্যাপ্ত পরিমানে গরু বাজারে উঠাতে তারা লাভবান ও গরু ক্রয় বিক্রয় পরিমান সন্তোষজনক আছে বলে পার্বত্যনিউজকে জানান।
রামগড় থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ বেলাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, রামগড় পৌর ও সোনাইপুল পশুর হাটের নিরাপত্তায় চারজন পুলিশ ও সিভিল পোষাকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।
কোম্পানী সদরের সুবেদার আবদুল গনীর নিকট সীমান্তবর্তী এলাকায় গরু পাচার রোধে জানতে চাইলে তিনি জানান, কোনবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে ভারতের গরু পাচার রোধে সীমান্তে বিজিবি টহল আগের তুলনায় জোরদার করা হয়েছে ।
এদিকে রামগড় পৌর গরু বাজার স্থলে সোনালী ব্যাংক রামগড় শাখার উদ্দ্যেগে জালনোট শনাক্তকরণ ও টাকা জমা করার জন্য অস্থায়ী বুথ চালু করা হয়েছে।
