Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

শ্রমিক সংগঠনের নামে চাঁদা উত্তোলন করতে গিয়ে ত্রি-মুখি সংঘর্ষ, আটক-২


পেকুয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজার জেলা পিক-আপ মিনি ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়ন (২২৩২) এর নাম ভাংগিয়ে বরইতলি রাস্তার মাথা ও পেকুয়া চৌমহুনীস্থ চৌরাস্তার মাথায় চাঁদা উত্তোলন করতে গিয়ে ত্রি-মূখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিবদমান শ্রমিকদের দুটি গ্রুপের সাথে পুলিশের এ সংঘর্ষের ঘটনা হয়। এ সময় হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা কক্সবাজার জেলা পিক-আপ মিনি ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন ও পেকুয়া থানা পুলিশ লাইনম্যান মো. আরকানকে আটক করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন থানায় আটক ও আরকানকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বরইতলিতে আর চৌমহুনীতে সাড়ে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মানিক নামের এক শ্রমিক বলেন, প্রতিদিনের মত তিনি ডাম্পার গাড়ি নিয়ে বালু বোঝাই করে বরইতলি রাস্তার মাথা হয়ে পেকুয়ায় আসছিলেন। পথিমধ্যে রাস্তার মাথায় আসলে কক্সবাজার জেলা পিক-আপ মিনি ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়নের (২২৩২) পেকুয়া শাখার সভাপতি রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর আলীসহ আরো কয়েকজন গাড়ি থামিয়ে চাঁদা দাবী করে। আমি অবৈধ চাঁদা দিতে অপরাগত প্রকাশ করলে গাড়ির চাবি কেড়ে নেয় তারা। এক পর্যায়ে আমি গাড়ির মালিক আমজাদকে বিষয়টি জানালে তারা আমাকে মারধর করে। এ সময় তাদের সাথে আমার সাথে থাকা শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়। এর কিছুক্ষণ পর হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তাসহ আরো দু’জন পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে অবৈধ চাঁদা উত্তোলণের বিষয়টি জানতে চায় পুলিশ। এ সময় ওই সংগঠনের নেতা গিয়াস উদ্দিনসহ পেকুয়া শাখার নেতারা পুলিশের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা চালালে পুলিশ ব্যাপক লাটিচার্জ করলে তারা পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে বরইতলির ঘটনাস্থল থেকে গিয়াস উদ্দিন নামের একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এদিকে বরইতলিতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্রমিক নেতা দ্বারা শ্রমিককে মারধরের খবর প্রকাশ হলে পেকুয়ার শ্রমিকেরা সংগঠনের নাম দিয়ে চাঁদা উত্তোলনকারীকে ধাওয়া দেয়। পেকুয়া থানার এসআই উত্তম কুমার একদল পুলিশ ফোর্স নিয়ে আরকান নামের একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে পেকুয়া শাখার নেতাদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

সংগঠনের পেকুয়া শাখার সভাপতি রুহুল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর বলেন, আমরা ট্রেড ইউনিয়নভুক্ত সংগঠন। বরইতলির রাস্তার মাথায় নতুনভাবে লাইনম্যান বসিয়ে টাকা উত্তোলন করছিলাম। এ সময় এক শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে সামান্য বাধানুবাদ হয়। একটু পরে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ি দু’কর্মকর্তা সিভিল পোশাকে এসে চাঁদা উত্তোলনের কারণ জানতে চায়। আমরা আমাদের ডকুমেন্ট দেওয়ার পরও অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করার কথা বলে আমাদের দু’জনকে আঘাত করে। এক পর্যায়ে শ্রমিকসহ আমরা ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশকে গণধোলায় দিই। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ আসলে আমরা চলে আসি। এ সময় তারা আমাদের নেতা গিয়াস উদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তারপর শুনি পেকুয়ার লাইনম্যানকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। তাদের সাথে পুলিশের মাসিক টাকার গোলমাল হওয়ায় লাইনম্যানকে নিয়ে যায় বলে তারা জানায়।

হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন এর মোঠোফোনে কল করলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

পেকুয়া থানার এসআই উত্তম কুমার সরকার জানান, এক শ্রমিককে মারধরের অভিযোগে ওসি স্যারের নির্দেশে থাকে আটক করা হয়েছিল। পরে শ্রমিকদের সাথে তাদের সমঝোতা হয়ে যাওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন