parbattanews

সংঘর্ষের ঘটনায় খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলমসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা 

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

খাগড়াছড়িতে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলমসহ আওয়ামী লীগের অপর গ্রুপের দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির অনুসারী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং১৩, তারিখ-৩১ অক্টোবর-২০১৭।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মো. আব্দুল হান্নান জানান, মামলায় খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলমকে প্রধান ও তার ছোট ভাই জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদ দিদারুল আলমসহ ৬৫জনের নাম উল্লেখ করে আরো দেড় শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

উল্লেখ, খাগড়াছড়ি পৌর শ্রমিকলীগের সভাপতি বেলাল হোসেনের উপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির অনুসারীরা মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরে মাস্টার পাড়া মোড়ে পৌঁছলে মেয়র রফিকুল আলমের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা হামলা চালালে দুই পক্ষের  মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে আদালত সড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় উভয় পক্ষ কিরিচ ও লাঠিসোটার পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্রও ব্যবহার করে। সংঘর্ষ চলাকালে আট রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে। এ সময় এক পক্ষের হাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম সালাহউদ্দিন লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।পুলিশ পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এ সময় বেশ কিছু গাড়ি ভাংচুর হয়।

খাগড়াছড়ি সহকারী পুলিশ সুপার হেডকোয়াটার আব্দুল আওয়াল জানান, শ্রমিক লীগ নেতা বেলাল হোসেনে উপর হামলার প্রতিবাদে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিলে মেয়র রফিকুল আলমের গ্রুপ হামলা চালালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। তবে পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।

প্রসঙ্গত, গত পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি আওয়ামী লীগের বিভক্তির সৃষ্টি হয়। সে থেকে প্রতিনিয়ত দুই পক্ষের মধ্যে অন্তত অর্ধশতাধিক হামলা, পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষে কমপক্ষে শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ সব ঘটনায় মামলা হয়েছে অর্ধশতাধিক। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শুধুমাত্র চলতি বছরে ১০ মাসে দুই গ্রুপের মধ্যে ২১টি সংঘর্ষ ও হামলার  ঘটনা ঘটেছে। কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার ২৭জন নেতাকর্মী ও মেয়র রফিকুল আলমের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

Exit mobile version