নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের দাবিতে গণসমাবেশ করেছে। সোমবার দীঘিনালা মাইনী ব্রীজ সংলগ্ন সড়ক ও জনপদ মাঠে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিকস ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সমর্থিত গনতান্ত্রিক যুব ফোরামের আয়োজনে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, জেলা যুব ফোরামের সভাপতি জিকো ত্রিপুরা।
গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক ও দীঘিনালা ইউনিট ইউপিডিএফের সংগঠক কিশোর চাকমার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, দীঘিনালা ভুমি রক্ষা কমিটির সদস্য ধর্মজ্যোতি চাকমা, দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নব কমল চাকমা, ভাইস চেয়ারম্যান সুসময় চাকমা,যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক অংগ্য মারমা, পাহাড়ি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি তুইক্য চিং মারমা, হিল উইসেন্স ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক মাদ্রী চাকমা, কবাখালী ইউপি চেয়ারম্যান ও ভুমি রক্ষা কমিটির সদস্য বিশ্বকল্যাণ চাকমা, ইউপিডিএফ সংগঠক মিটুন চাকমা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দেবদন্ত চাকমা, সাজেক ভুমি রক্ষা কমিটির সভাপতি নিলুফা চাকমা, বিজয় চাকমা প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করার জোর দাবি জানিয়ে দীঘিনালা বাবুছড়ায় বিজিবি’র জোন সদর দপ্তর না করার আহ্বান জানান এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো পুর্ণবাসনের দাবি জানানো হয় সমাবেশে। সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে উপজেলা সদর আসার পথে মাইনী ব্রিজের কাছাকাছি আসলে পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের উপর সমাবেশকারীরা চড়া হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের উপর ইট-পাটকেল,বালি-কাঁদা ছুড়ে মারে। এতে পুলিশের এক এস আইসহ তিন জন আহত হয।
এসময় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে সমাবেশ কারীরা বাধা দেয়। এদিকে পুলিশ জানায়, সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের দাবিতে পূর্বনিধারীত কর্মসূুচী ছিল সমাবেশ করা কিন্তু মিছিল করা অনুমতি ছিলনা। তাই পুলিশ বাঁধা দেয়।
এদিকে বাবুছড়ায় গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে বিজিবির দেয়া হামলায় আটক ৭ জনের জামিন আবেদন আবারও নাকচ করে দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে বারটার দিকে আটক সাত গ্রামবাসীকে খাগড়াছড়ির একটি আদালতে হাজির করা হলে তাদের জন্য জামিনের আবেদন করা হয়। কিন্তু কগনিজেন্স আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল আলম চৌধুরী তা নামঞ্জুর করেছেন। এ নিয়ে তিনি চার বার তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে দিলেন।
আদালতে আটককৃতদের পক্ষে জামিন আবেদন করেন এডভোকেট আশুতোষ চাকমা, এডভোকেট সমারী চাকমা, এডভোকেট রতন চৌধুরী ও এডভোকেট আবুল হাসান।