parbattanews

সংসদে বাসন্তী চাকমা এমপি’র বক্তব্যের প্রতিবাদে মানিকছড়িতে সংবাদ সম্মেলন

মানিকছড়ি প্রতিনিধি:

পার্বত্য চট্টগ্রামের নারী সাংসদ ও সাবেক ইউপিডিএফ নেত্রী বাসন্তী চাকমা সম্প্রতি সংসদে প্রদত্ত ভাষণে উগ্র-সাম্প্রদায়িক ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্যের প্রতিবাদে মানিকছড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সচেতন পার্বত্যবাসী সংগঠন।

রবিবার (৩ মার্চ) বিকেলে মানিকছড়ি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে সচেতন পার্বত্যবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্যে মো. সাহাব উদ্দীন বলেন, দেশ বা সমাজের   নির্বাচিত কিংবা মনোনীত জনপ্রতিনিধি কোন দল বা গোষ্ঠির একক নেতা বা অভিভাবক নন। তিনি ওই এলাকার সকল জনগণের অভিভাবক।

পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য বসন্তী চাকমা গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সংসদে প্রদত্ত ভাষণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাঙ্গালী সম্প্রদায়কে ব্যঙ্গ করে এবং মিথ্যা তথ্য জড়িয়ে উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠির পক্ষাবলম্বন করে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।

তিনি তার বক্তব্যে কখনও ১৯৮৬ আবার কখনও ১৯৯৬ সাল এবং দিন, তারিখ গড়মিল করে বলেছেন ওই সময় সেনাবাহিনী বাঙ্গালী সেটেলারদের সাথে আল্লাহ আকবার ধ্বনি উচ্চারণ করে উপজাতিদের উপর হামলা চালিয়েছেন।

অথচ তাঁর ভাষণে উল্লেখিত সাল, দিন, তারিখে ওই এলাকায় এ ধরণের কোন ঘটনার সত্যতা নেই। বরং ১৯৭৯-১৯৮৬ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী শান্তিবাহিনী সেখানে বসবাসরত হাজার হাজার বাঙ্গালী নারী পুরুষ, শিশু-কিশোরদের উপর বর্বরোচিত হামলা, অগ্নিসংযোগ, ব্রাশফায়ার, হত্যা-নির্যাতন চালিয়ে স্বপরিবারে হত্যা করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, সাংসদ বসন্তী চাকমা একজন উগ্র-সম্প্রদায় ইউপিডিএফের নেত্রী হয়ে গত ২০০৮ সালে ৩য় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়।

পরবর্তীতে তিনি ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং এবার নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

তার এহেন উগ্র-সাম্প্রদায়িক ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রত্যাহার না করলে এবং তাঁর সংসদ সদস্য পদটি বাতিল না হলে এর পরিপ্রেক্ষিতে পার্বত্যাঞ্চলে নতুন করে অসাম্প্রদায়িক পরিবেশে নতুন কোন অঘটন সৃষ্টি হলে তার জন্য ওই নারী সাংসদ ও ইউপিডিএফ নেত্রীকে দ্বায় নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রায় শতাধিক বাঙ্গালী নারী-পুরুষ অংশ নেয়। যাদের ছেলে, মেয়ে, পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজন

সে সময়ে প্রাণ দিতে হয়েছিল তৎকালীন উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী (শান্তিবাহিনী) হাতে।

Exit mobile version