parbattanews

জেএসএস নেতা চিথোইমং মারমা ডেবিট শান্তিচুক্তির পর অস্ত্র সমর্পনকারী নেতাদের অন্যতম

তৎকালীণ শান্তিবাহিনীর কমান্ডার ও জেএসএস(সন্তু)অন্যতম নেতা চিথোইমং মারমা ওরফে ডেবিট মানিকছড়ি উপজেলা এয়াতলংপাড়ার উচাই মারমার ছেলে। সে তৎকালীণ শান্তিবাহিনীর কমান্ডার থাকাকালে ১৯৯৭ সালে অনুষ্টিত শান্তিচুক্তির সময় আত্মসমর্পণ করা জেএসএস সদস্য।

গত ৪ বছর পূর্বে মূলদল ছেড়ে জেএসএস সংস্কারে যোগদানের পর আত্মগোপনে যাওয়া পর মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বান্দরবানের বাগমারায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন এই প্রবীণ জেএসএস নেতা চিথোইমং মারমা(৫৫) ওরফে ডেবিট।

তার মৃত্যুর খবরে বয়োঃবৃদ্ধ ও পরিবার-পরিজনে নেমে এসেছে শোকের মাতম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানিকছড়ি উপজেলার ১ নং মানিকছড়ি ইউপি’র এয়াতলংপাড়া গ্রামের উচাই মারমার ২ ছেলে ও ৬ মেয়ের মধ্যে চিথোইমং মারমা ওরপে ডেবিট সংসারে বড়।

সে মানিকছড়ি রানী নিহার দেবী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে ১৯৮৩-৮৪সালে তৎকালীণ শান্তিবাহিনীতে যোগদান করে জেএসএস(সন্তু লারমার)সশস্ত্র সংগ্রামে প্রবেশ করেন।

১৯৯৭ সালে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির সময় আত্মসমপর্ণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে জেএসএস মূল দলে (সন্ত লারমা) থেকে নিজ এলাকায় পিতা-মাতা ও পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছিল।

২০১৭ সালের পর হঠাৎ করে চিথোইমং মারমা ওরফে ডেবিট আত্মগোপনে চলে যায় এবং এক পর্যায়ে জেএসএস সংস্কারে যোগদান করেন বলে জানা যায়। এর পর হতে তার জন্মভূমি(মানিকছড়িতে) তাকে দেখা যায়নি। যদিও গোপনে বাড়ীতে আসা-যাওয়া থাকলেও তার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েরা জেলা শহর খাগড়াছড়িতে বসবাস করত।

গত জুন মাসে চিথোইমং মারমা ওরফে ডেবিট এর মাতা মারা যাওয়ার পর গোপনে বাড়ীতে আসে এবং মায়ের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগদান শেষে আবার আত্মগোপনে চলে যায়।

৭ জুলাই সকাল ৭টার পর পার্বত্য বান্দরবান জেলার বাগমারা এলাকায় দু’দল সশস্ত্র সন্ত্রাসীর ব্রাশ ফায়ারে এই জেএসএস নেতাসহ ঘনটাস্থলে ৬ জন নিহত ও ৩জন আহত হয়।

এ খবর জানাজানি হলে নিহতের জন্মভূমি মানিকছড়ির এয়াতলংপাড়া নিহতের বাড়ীতে নিরব শোকের ছায়া নেমে আসে।

প্রশাসনের ভয়ে বাড়ীর কেউ কিছু বলতে না চাইলেও নিহতের বয়োঃবৃদ্ধ পিতা উচাই মারমা, ভাই-বোন,স্ত্রী অঝোরে কান্নাকাটি করছিল বলে বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করছিল। নিহতের ২ সংসারে ১স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ে রয়েছে।

Exit mobile version