parbattanews

সকল জাতির সমাগমন ও সম্প্রীতি উৎসবের রুপান্তরে প্রস্তুতি চলছে

01 copy

থানচি প্রতিনিধি:

পাহাড়ি বাঙালি ও সকল জাতির সমাগমন ও একটি সম্প্রীতি উৎসবের পরিনত করার বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে থানচিতে শঙ্খ নদীর ঘাঁটে আগামী ৫, ৬ ও ৭ মার্চ তিন দিনব্যাপী সার্বজনীন গঙ্গা স্নান, গঙ্গা পূজা উৎসব দশম বারের মতো আয়োজন করেছে স্বনাতন ধর্মীয় সম্প্রদায় ।

আয়োজকরা জানান, পাহাড়ে জুম চাষ থানচি উপজেলা ৬টি বাজারের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ শঙ্খ নদীর পথে যাত্রীদের নিয়ে যায় প্রতিদিন শতাধিক ছোট ছোট নৌকা।এতে পর্যটক ও জনসাধারণ যাতায়াত ও  চলাচল করে । তাদের বিশ্বাস শঙ্খ নদীতে দর্শণ করেন গঙ্গা প্রতিমা। প্রতিমা তৈরি করে স্নাং এবং পূজা করে সকলের আর্শীবাদক হবেন। এবং সকল সম্প্রদায়ের  মুক্তি পাবেন।

আয়োজক কমিটির সভাপতি উত্তম কুমার চৌধুরী জানান, গত ২০০৭ সালে প্রথম শুরু করেছি এ পূজা  এবারে ১০ বছর দশম বারের মতো প্রতিমা বিসর্জন, ৫০ হাজারেরও বেশি ভক্তদের প্রসাদ ও ৫শত ছাগল বলি দিয়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় হিন্দু সম্প্রদায়ের আয়োজনের অসম্প্রদায়িকতায় এক যোগে  সার্বজনীন গঙ্গা স্নান, গঙ্গা পূজা উৎসব মূখর পরিবেশের মধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।

দশম বারের মতো সাংগু নদীর তীরের এক তীর্থ স্থানের আশীর্বাদক করার ধর্মউপাসনা এক মাত্র প্রয়াস থানচি উপজেলার অবস্থানরত বিভিন্ন ধর্মীয় গন্যমান্য জনপ্রতিনিধি ও সরকারী বেসরকারী দায়িত্বরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন আয়োজক কমিটি।

এ উপলক্ষে সোমবার উদযাপন কমিটি সাধারণ সম্পাদক কার্তিক কর্মকারের সঞ্চালনায় থানচি বাজার প্রাঙ্গনের কমিটি সভাপতি রুপম কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভা আয়োজন করেন। সভায় থানচি উপজেলার চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পূজা উৎসব উদ্বোধন করবেন বলেও সিন্ধান্ত হয়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, হিন্দু ধর্মীয় নেতা ও প্রবীন আ’লীগের নেতা  স্বপন কুমার বিশ্বাস, মৃদুল কান্তি দাশ, যুব লীগের নেতা আশীষ কুমার দাশ, সুমন কর্মকার, জন্তু কর্মকার প্রমুখ।

অন্যবারের চেয়ে এবারে প্রতিমা সব চেয়ে বড় আকারে করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উপজেলা সকল সম্প্রদায়ের নেতৃবর্গ গন্যমান্য, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত হয়ে প্রতিমা পূজা ও স্নাংগের অংশগ্রহণ করে আর্শীবাদক গ্রহণের সুযোগ রয়েছে বলেও পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষে জানা যায়।

Exit mobile version