সন্তু লারমাকে আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণ করে বিচারের দাবি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
৯ সেপ্টেম্বর পাকুয়ালী ট্রাজেডি স্মরণে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে সকাল ১১ কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মো. শাহাদাৎ হোসেন এর সভাপতিত্বে সভার শুরুতেই হত্যাকাণ্ডের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালনের মধ্যে দিয়ে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পার্বত্য যুব ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ বলেন ১৯৯৬ সালে ৯ সেপ্টেম্বর লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলার মধ্যবর্তী স্থান পাকুয়াখালীতে খুনী সন্তু লারমার নির্দেশে নিরীহ বাঙ্গালী ৩৫ কাঠুরিয়াকে ডেকে নিয়ে যেভাবে নির্মম হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করেছে তা ১৯৭১ এর গনহত্যার চেয়েও কোন অংশে কম না। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের শিকার অসহায় পরিবারগুলো আজও খুনির বিচার ও কোন প্রকার ক্ষতিপূরণ পায়নি।
শুধু পাকুয়াখালী নয় পার্বত্য চট্টগ্রামে এই ধরনের হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ৩০ হাজার নিরীহ পার্বত্যবাসী। তাই মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করে খুনি সন্তু লারমার বিচার করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে দেশী-বিদেশী সকল ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার হিসাবে কল্পিত জুমল্যান্ড করার লক্ষে খুনি সন্তু লারমা ব্যবহার হচ্ছে। তারই অংশ হিসাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি হওয়ার পরও সন্তু লারমার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়নি। বরং হত্যা, গুম, অপহরণ, চাঁদাবাজি দিন দিন বেড়েই চলছে।
এইসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধে সরকারকে আরো কঠোর হওয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান আলম, দপ্তর সম্পাদক মো. সোলাইমান, প্রচার সম্পাদক মো. সোহেল, জেলা সহ-সভাপতি মাসুদ পারভেজ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।