parbattanews

সন্তু লারমার অসহযোগ আন্দোলনের সিদ্ধান্ত বহাল


ফাতেমা জান্নাত মুমু:
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার অসহযোগ আন্দোলনের সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির মুখপাত্র সজিব চাকমা। তিনি বলেন, ১ মে থেকে অসহযোগ আন্দোলনে নামার কথা থাকলেও বিভিন্ন কারণ তা হয়নি। তবে যে কোন মুহুতে জনসংহতি সমিতির পক্ষ থেকে কর্মসূচীর দেওয়া হবে।

অন্যদিকে অসহযোগ নিয়ে পাহাড়ে শুরু হয়েছে আলোচনার ঝড়। ঘোষণা দিয়ে মাঠে ছিল না পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতাকর্মী। কোন কর্মসূচী ছাড়া পাড় হলো অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন। তবে বিষয়টি নিয়ে চরম উৎদ্বেগ- উৎকন্ঠ বিরাজ করছে পাহাড়েরর মানুষের মধ্যে। জল্পনা-কল্পনারও শেষ নেই। আলোচনা-পর্যালোচনায় কাটছে সময়। স্থানীয় হাট-বাজার ও চায়ের দোকানে এখন অসহযোগই শিরোনাম পরিণত হয়েছে।

স্থানীয় এলাকাবাসীর তথ্য সূত্রে জানা গেছে, অসহযোগ আন্দোলনে নামার কথা থাকলেও দৃশ্যমান কোন কর্মসূচী পালন করেনি জনসংহতি সমিতি । কিন্তু অসহযোগ নিয়ে স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মধ্যে চলছে গোপন বৈঠন । তবে এব্যাপারে কথা বলতে নারাজ সংগঠনটির নেতার্মীরা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে (সন্তু লারমা) বলে ছিলেন, ১৯৯৭ সালে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর হয়ে ছিল। দীর্ঘ ১৭ বছর অতিবাহীত হলেও সরকার পার্বত্য চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো এখনো বাস্তবায়ন করেনি। সরকার আগামী ৩০এপ্রিলের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে সুনিদিষ্ট সময়সূচী ঘোষণা না দিলে, ১ মে থেকে অসহযোগ আন্দোলনে নামবে জনসংহতি সমিতি। সম্প্রতি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও সেমিনারে সন্তু লারমা এসব কথা বলেন।

অন্যদিকে সরকার দলের পক্ষ থেকে তিন পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, সরকার চুক্তির বেশির ভাগ ধারা বাস্তবায়ন করেছে। বাকি ৪কি ৫টি উপধারা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। সে গুলোও বর্তমান সরকারের আমলেই বাস্তবায়ন করা হবে। তবে তার জন্য জনসংহতি সমিতির আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

এদিকে পার্বত্য চুক্তির সিংহভাগ বাস্তবায়নের পর সন্তু লারমার অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষনার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আঞ্চলিক বাঙালী ভিত্তিক সংগঠনের নেতারা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব ফ্রন্টের সভাপতি শাহাজাহান অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান হয়ে সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করে অসহযোগ আন্দোলনের নামে সন্তু লারমা পার্বত্যাঞ্চলকে আবারও অশান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন- অথচ সরকার নীরব। পার্বত্য চুক্তিকে ইস্যু করে কোন রকম অশান্তি পাহাড়ের মানুষ মেনে নিবে না।

Exit mobile version