সন্ত্রাসবাদ দমনের নামে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ মুসলমানদের মধ্যে জঙ্গি কার্যক্রমে উৎসাহ দিয়ে থাকে

image_207_14749

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ দমনের নামে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ মুসলমানদের মধ্যে জঙ্গি কার্যক্রমে উৎসাহ দিয়ে থাকে। ক্ষেত্রবিশেষে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য তাদের অর্থেরও জোগান দেয়া হয়। এভাবে নিরপরাধ ব্যক্তিকে অপরাধে জড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলার পর জঙ্গিবাদ দমনের নামে এফবিআই এমন কাজ করছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় করা প্রতিবেদনটি সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের মধ্যে জঙ্গি তৎপরতার ২৭টি ঘটনার পর্যালোচনা করা হয়। ঘটনাগুলোর তদন্ত থেকে বিচার পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনের জন্য ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২১৫ জনের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে গোয়েন্দা কর্মী, তদন্ত কর্মী, বিচারকসহ জঙ্গি কার্যক্রমে অভিযুক্তের আত্মীয়স্বজন রয়েছেন।

তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, কোনো কোনো ঘটনায় এফবিআই আইন মেনে চলে, এমন লোকজনকে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ায় উৎসাহ দিয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাটির উপপরিচালক এনড্রিয়া প্রেসো বলেছেন, মার্কিন জনগণকে বলা হয়েছে, তাদের নিরাপত্তার জন্য জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তব অবস্থা ভিন্ন। বিভিন্ন ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, যে ব্যক্তি জীবনে কোনো অপরাধ করেনি, তাকে অপরাধে জড়িয়ে দেয়া হয়েছে। জঙ্গি কার্যক্রমের জন্য গোয়েন্দারা অর্থেরও জোগান দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জঙ্গি দমনের নামে গোয়েন্দারা ঝুঁকিপূর্ণ লোকজনকে বাছাই করে থাকে। ফাঁদে পড়া অনেকেরই মানসিক সমস্যা রয়েছে বা তারা কম বুদ্ধিমত্তার লোকজন। এতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত রেজওয়ান ফেরদৌসের উদাহরণ দেয়া হয়েছে। বোমা মেরে পেন্টাগন ও ক্যাপিটল হিল উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনার দায়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ বছরের কারাভোগ করছেন রেজওয়ান।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানসিক সমস্যার কথা জানা থাকলেও রেজওয়ানকে জঙ্গি পরিকল্পনায় প্ররোচিত করা হয়েছিল। মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল এরিখ হোল্ডার জঙ্গি দমনে গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকান্ডের ঘোর সমর্থক। তিনি দাবি করেছেন, জঙ্গি দমনের জন্য এ ধরনের অভিযান পরিচালনায় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হয়ে থাকে। সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তাকর্মীরা প্রতিটি পদক্ষেপ দায়িত্ব নিয়ে করে থাকেন। এজন্য তাদের জবাবদিহি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হয়। সন্দেহভাজন ব্যক্তির আইনগত সুবিধা সব সময় নিশ্চিত করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন