parbattanews

সন্ত্রাসীদের হামলায় দুই সহোদর গুরুতর আহত


কক্সবাজার প্রতিনিধি:
টেকনাফের হ্নীলা আলীখালীতে রফিক (২৫) ও রহিম (২১) নামের দুই সহোদর সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালী এলাকায় এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। বর্তমানে আহতরা কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় রশিদ মিয়ার ছেলে মো. কায়সার (২৪) হারুন (২২), মো. একরাম (২০), মো. ইসমাঈল (৩০), আজিম উল্লাহর পুত্র মো. রফিক (২৬) আলি আহমদের পুত্র ইমাম হোসাইন, দেলোয়ার হোসাইন, ইমাম হাসানসহ আরো ৫/৬ জনের একটি সন্ত্রাসীর দল কোন কিছু বুঝার আগেই রংগীখালী থেকে মোটর সাইকেল নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে একই এলাকার মো. হোসাইনের পুত্র রফিক (২৫) ও কক্সবাজার সিটি কলেজ ছাত্র রহিম (২১) কে দা, কিরিচ ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত করে। হামলাকারীরা তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, দামী মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

তাদের ব্যবহ্নত মোটর সাইকেলও ভাংচুর করে। ঘটনার খবর পেয়ে আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এলাকার লোকজন জানান, হামলাকারীরা শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী। তারা দীর্ঘদিন এলাকার মানুষকে জিম্মি করে এসব অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আহত রফিক-রহিম জানান, হামলাকারীরা চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী। আমাদের পারিবারিক দ্বন্দ্বকে পূঁজি করে তারা বারবার আমাদের উপর হামলা করছে। তারা আমাদের আগেও একবার হামলা করেছে। এঘটনায় গতমাসের ২৩ মার্চ হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান এইচকে আনোয়ার উভয় পক্ষকে নিয়ে শালিসি বৈঠক করেন। এই বৈঠকে উভয়পক্ষকে আর কোন ধরনের কথাকাটি-মারামারি না করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তারা চেয়ারম্যানের কথাও পাত্তা দিচ্ছে না। এঘটনায় এই রিপোর্ট লেখাকালীন থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রনজিত কুমার বড়ুয়া জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে সন্ত্রাসী ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Exit mobile version