parbattanews

সন্ত্রাসীদের হামলায় রোহিঙ্গা মাঝি গুলিবিদ্ধ

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গুলাগুলির ঘটনায় এক রোহিঙ্গা মাঝি গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

রবিবার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার কুতুপালং ২ ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত ২ ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৪ ব্লকের মোহাম্মদ নাজেরের ছেলে রশিদুল্লাহ (৩২)। বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

তিনি ২-ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকের মাঝি (কমিউনিটি নেতা)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১৪ এপিবিএন এর অধিনায়ক সৈয়দ হারুনুর রশীদ (অতিঃ ডিআইজি) জানান,”আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র কে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা রশিদুল্লাহ কে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ রশিদুল্লাহ কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ক্যাম্পের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারে প্রেরণ করেন।”

ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এ সময় ২ ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক রোহিঙ্গা মাঝি জানান, ” পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আরসার সন্ত্রাসীরা রশিদুল্লাহকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালিয়েছে। আরসার অপরাধ কর্মকান্ডের বিরোধ করায় তাকে গুলিবিদ্ধ হতে হলো। “

আরসা সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার করতে বিরোধীদের টার্গেট করে নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে উল্লেখ করে এই মাঝি বলেন, ” আমরা আমাদের জানের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত। যেকোনো মূহুর্তে ওরা (আরসা) যে কাউকে আক্রমণ করতে পারে।’

আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) এর সভাপতি মোহাম্মদ জুবায়ের বলেন, ” দুটি কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কমিউনিটি নেতাদের হামলা করে হত্যাকান্ড পর্যন্ত সংঘটিত করছে কথিত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো। এক হচ্ছে, কথিত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর ব্যাপারে কেউ তথ্য দিলে তা তারা জেনে যায়। তারপর নির্দিষ্ট সময়ে গিয়ে তথ্যদাতার উপর হামলা চালায় তারা।

দ্বিতীয় হচ্ছে, আগে অনেক মাঝি সংগঠনগুলোকে সহযোগিতা করত। কিন্তু এখন না করাতে মুনাফিক হয়ে গেছে বলে টার্গেট করা হচ্ছে। “

কক্সবাজার জেলা পুলিশের একটি পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৩৭ টি হত্যাকাণ্ড হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ২৬টি হত্যাকাণ্ড হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কমিউনিটি নেতা ও স্বেচ্ছাসেবক।

Exit mobile version