সন্ত্রাসী হামলায় খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা আহত


পার্বত্যনিউজ রিপোর্ট:
সন্ত্রাসী হামলায় খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা আহত হয়েছেন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।তবে তিনি আমঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

শুক্রবার দুপুরে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন ৪ জনকে আটক করেছে। ঘটনার পর শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনে ৫/৬ জন সন্ত্রাসী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এ সময় চঞ্চুমনি চাকমা মোটরসাইকেলে থেকে নেমে দৌঁড়ে পালাতে চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে চঞ্চুমনি চাকমা রাস্তায় পড়ে যায়। এ সময় আশ-পাশে টহলে থাকা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চঞ্চুমনি চাকমাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণ করে।

খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার নয়নময় ত্রিপুরা জানান, মাথায় আঘাত লাগায় চঞ্চুমনি চাকমাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। তবে তিনি আশংকামুক্ত।

খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম সালাহউদ্দিন জানান, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমার উপর হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন চার জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনা পরপরই শহরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ তল্লাসি চৌকি বসিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, রাঙামাটির নানিয়াচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা, ইউপিডিএফ ডেমোক্রাটিক সভাপতি তপন জ্যোতি বর্মা হত্যাসহ একের পর এক হত্যা, হামলা, চাঁদাবাজি ও বাড়ী-ঘর থেকে নিরীহ লোকজনকে উচ্ছেদের পরও উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় এবং প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোয় ক্ষুব্ধ লোকজন এ হামলা করতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ৩ মে নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেএসএস সংস্কারের সহসভাপতি শক্তিমান চাকমাকে তার কার্যালয়ের সামনে হত্যা করে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা। এরপর দিন ৪ মে শক্তিমানের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার পথে সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে ইউপিডিএফ ডেমোক্রাটিক গ্রুপের সভাপতি তপন জ্যোতি চাকমাসহ ৫ জনকে হত্যা করে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা। এ দুই হত্যাকাণ্ডের জেএসএস সংস্কার ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের পক্ষ থেকে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপকে দায়ী করা হয়েছিল। ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপ সমর্থিত খগড়াছড়ি সদর খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান চঞ্চুমণি চাকমা উল্লিখিত দুই হত্যাকাণ্ডেরই এজহারভূক্ত আসামী।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন