দীঘিনালা প্রতিনিধি :
দীঘিনালায় সবিজ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন এক দিন মজুর। এখন তিনি আর দিন মজুরি করেন না। মৌসুম ভিত্তিক সবজি চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করে যাচ্ছেন। এখন তার সবজি ক্ষেতে রয়েছে প্রচুর লাউ। সবজি ক্ষেত থেকে প্রতিদিনই পাইকাররা লাউ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার কথা হয় দীঘিনালা উপজেলার কবাখালীর উত্তর মিলনপুর গ্রামের সফল লাউ চাষী এমদাদুলের সঙ্গে। এসময় তিনি জানান, অভাব-অনটনের কারণে তিনি লেখাপড়া বেশি করতে পারেননি, তাই বেকারত্ব দূর করতে শুরু করেন দিন মজুরের কাজ। প্রতিদিন কাজ না থাকায় সংসারের খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হতো। তাই দিন মজুরির পাশাপাশি বিকল্প চিন্তা শুরু করেন। গত বছর থেকে পরিত্যাক্ত জমিতে সবজি চাষ করার চিন্তা করেন। তার এক আত্মীয়ের নিকট থেকে দেড় একর জমি নিয়ে তাতে লাউ চাষ করেন। প্রথমবার লাউ চাষ করে তেমন লাভ না হলেও, হাল ছাড়েননি। তাই এবার লাউ চাষে তার সাফল্য আসে।
গত আগস্ট মাসে বীজ তলা তৈরি করে বীজ রোপন করে এবার লাউ চাষ শুরু করেন। এখন তার লাউ ক্ষেত থেকে লাউ বিক্রি করেছেন। এ পর্যন্ত প্রায় পচিশ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন। প্রতিদিন ত্রিশ/চল্লিশটি লাউ বিক্রি করতে পারছেন। সবজি হিসেবে চাহিদা থাকায় প্রতিটি লাউ পাইকারী দরে ৫০/৫৫ টাকা করে বিক্রি করতে পারছেন।
এ ব্যাপারে এমদাদুল হক জানান, ‘এ পর্যন্ত প্রায় পচিশ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছি। বড় ধরনের পোকার আক্রমণ না হলে, আরো প্রায় দুমাস লাউ বিক্রি করতে পারব। এতে প্রায় ৫০-৫৫ হাজার টাকার লাউ বিক্রি হতে পারে। লাউ উঠে গেলে করলা চাষ করব।’ তিনি আরো জানান, সবজি চাষ করার পর থেকে এখন আর দিন মজুরের কাজ করা লাগে না। নিজের কাজ করেই সংসার চালাতে পারছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুজন চাকমা জানান, ‘এমদাদুল হকের সবজি ক্ষেতটি আমি দেখেছি। সেখানে সেক্স ফেরোমন ফাদ দিয়েই কিন্তু পোকা দমন হচ্ছে। তার এ সবজি ক্ষেতে যেভাবে লাউ উৎপাদিত হচ্ছে, সেটি পুরো উপজেলার জন্য দৃষ্টান্ত।’