সমঅধিকারকে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছেন ওয়াদুদ ভুঁইয়া

32088_111026358943880_4838019_a

নুরুল ইসলাম, পার্বত্য নিউজ, ঢাকা:

সমঅধিকারকে শক্তিশালী, সক্রিয় ও ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছেন সাবেক এমপি, সাবেক উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান ও তিন পার্বত্য জেলার জনপ্রিয় বাঙালী নেতা ওয়াদুদ ভুঁইয়া। সমঅধিকার আন্দোলনকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে তিনি বেশ কয়েকদিন পার্বত্য চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন। এরই মধ্যে সমঅধিকারের নিষ্ক্রিয় ও ত্যাগী নেতাদের নিয়ে কয়েকটি বৈঠকও করেছেন।

মূলত পার্বত্য বাঙালী ও দেশের স্বার্থ রক্ষার প্রয়োজনে বিগত দশকে বাঙালী নেতা ওয়াদুদ ভুঁইয়ার নেতৃত্বে সমঅধিকারের জন্ম। জন্মের পর থেকে তিন বাঙালীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আন্দালন করে অল্প সময়ের মধ্যেই বিপুল জনিপ্রিয়তা অর্জন করে সংগঠনটি।  এর মাধ্যমে ওয়াদুদ ভুঁইয়াও তিন পার্বত্য জেলার অপ্রতিদ্বন্দ্বি বাঙালী নেতায় পরিণত হন। কিন্তু বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ওয়াদুদ ভুঁইয়া গ্রেফতার হয়ে গেলে সমঅধিকার আন্দোলন নেতৃত্বহীন ও লক্ষ্যহীন হয়ে পড়ে।

তৎকালীন সরকার ওয়াদুদ ভুঁইয়ার বিকল্প খুঁজতে ও তার বিকল্প নেতৃত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে সংস্কারের নামে পরিকলল্পিতভাবে সমঅধিকার আন্দোলনকে ভেঙে ফেলে। তাদের ইন্ধনে সমঅধিকারের মধ্যে শুরু হয় উপদলীয় দ্বন্দ্ব। ফলে সমঅধিকারের ত্যাগী নেতারা নষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। কেউ কেউ জাতীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে। যেসকল বাঙালী সমঅধিকারের নামে টাকা পয়সা কামিয়েছে তারাও প্রয়োজনীয় সময়ে সটকে পড়ে। কিন্তু যে লক্ষ্যে এতোসব করা হলো, সেই ওয়াদুদ ভুঁইয়ার বিকল্প নেতৃত্ব তৈরী করতে প্রবলভাবে ব্যর্থ হলো তৎকালীন সরকার।

অথচ বিভিন্ন জায়গায় দুই/তিন ভাগ হয়ে ব্রাকেটেড হয়ে যায় সংগঠনটি। ফলে নেতৃত্বহীন হয়ে সমঅধিকার লক্ষ্যহীন একটা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। বর্তমানে সমঅধিকার একটি বিশেষ গোষ্ঠীর ফায়দা হাসিলের ইন্সট্রুমেন্টে পরিণত হয়েছে। 

এ ব্যাপারে ওয়াদুদ ভূইয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের এই চরম ক্রান্তিলগ্নে এই সংগঠনটি প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখতে ব্যার্থ হচ্ছে। আন্দোলনে নামে যা হচ্ছে, তা বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ হাসিলের এক ধরণের গাইডেড রিহার্সেল। ফলে তা বাঙালীর স্বার্থ রক্ষায় কোনো অবদান রাখতে পারছেনা। টেণ্ডারবাজী ও ব্যাক্তিগত স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে বর্তমানে ববহৃত হচ্ছে সংগঠনটি। কেউবা আবার শুক্রবার, শবে বরাত, রমজানে হরতাল ডেকে, যখন তখন হরতাল ডেকে আবার ইচ্ছে হলেই তা প্রত্যাহার করে একটি হাস্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে সংগঠনটিকে। সেকারণে পার্বত্য বাঙালীদের পক্ষ থেকে আমার উপর প্রবল চাপ আসছিল সমঅধিকারকে সংগঠিত করার। সে কারণেই এই উদ্যোগ।

ওয়াদুদ ভুঁইয়া বলেন, এরই মধ্যে আমরা চট্টগ্রামে সমঅধিকারের সাবেক, নিস্ক্রিয় ও ত্যাগী নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছি। তারা প্রত্যেকে সমঅধিকারকে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করার জন্য দাবী জানিয়েছেন। তারা ত্যাগী নেতাদেরকে আন্দোলনের নেতৃত্বে আনার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। আমরা সব বিষয়েই বিশদ আলোচনা করেছি। ইতোমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা সমঅধিকার নেতৃবৃন্দকে দেয়া হয়েছে। অচিরেই আমাদের বক্তব্য দেশবাসীকে জানানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং পার্বত্যবাসী ও দেশের স্বার্থ রক্ষার প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন