parbattanews

সমগ্র দেশের মানুষকে পার্বত্য সমস্যা নিয়ে ভাবতে হবে: ঊষাতন তালুকদার

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি’র সহ-সভাপতি ও সাবেক সাংসদ ঊষাতন তালুকদার বলেছেন, বর্তমান সরকার একাধারে অনেক বছর ক্ষমতায় আছেন। আর চুক্তির আজ চব্বিশ বছর হল। এটা কী কম সময়? পার্বত্য সমস্যা কেবল একটি আঞ্চলিক সমস্যা নয়, এটি একটি জাতীয় সমস্যা, সেটা বুঝে নিয়েই সরকার চুক্তি করেছিল। আর সেজন্য সমগ্র দেশের মানুষকে এই সমস্যা নিয়ে ভাবতে হবে।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা’য় রাজধানী শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জিকো চাকমা’র সঞ্চালনায় এবং কেন্দ্রীয় তথ্য প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রেং ইয়ং ম্রো’র সভাপতিত্বে এক সমাবেশে সংহতি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির দুই যুগ পূর্তি উপলক্ষে অবিলম্বে চুক্তি’র শতভাগ বাস্তবায়নের দাবীতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

ঊষাতন বলেন, আমরা ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দু’ লক্ষ মা-বোনের সম্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু চুক্তি হওয়ার পরেও দেশের একটি অঞ্চল (পার্বত্য অঞ্চল) কীভাবে নিগৃহীত থাকবে, উপেক্ষিত থাকবে? আর চুক্তি নিয়ে কেন অপপ্রচার হবে বলেও প্রশ্ন রাখেন তিনি।

বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামকে কেন এভাবে জঞ্জাল অবস্থায় রাখা হয়েছে? এমন প্রশ্ন করে তিনি বলেন, সরকার বলে আমরা (পাহাড়ী’রা) বিভক্ত হয়ে গিয়েছি। দুর্বল হয়ে গিয়েছি। কিন্তু এই বিভক্তি, উপদল সৃষ্টি কার পয়সায় হচ্ছে, কার পকেট থেকে হচ্ছে তা জানতে চান সাবেক এই সাংসদ।

তিনি বলেন, পার্বত্য চুক্তি কেবল সন্তু লারমা ও আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ্’র সাক্ষরিত চুক্তি নয়, এটি পার্বত্য সমস্যা’কে সমাধানের জন্যই করা হয়েছে। কাজেই পাহাড়ের সমস্যা সমাধানে অবিলম্বে পার্বত্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নেরও দাবি জানান জনসংহতি সমিতি’র এই নেতা।

এসময় উপস্থিত থেকে আরও সংহতি বক্তব্য রাখেন সংগঠনটি’র কেন্দ্রীয় স্টাফ সদস্য চঞ্চনা চাকমা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।

স্বাগত বক্তব্যে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যবিলন চাকমা বলেন, আজ পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরের দুই যুগ অতিক্রান্ত হচ্ছে। চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ছিল নিপীড়িত পাহাড়িদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং পার্বত্য সমস্যাকে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা। কিন্তু চুক্তির এই লিখিত দলিল থাকার পরও সরকার আজ অবধি বিভিন্নভাবে তালবাহানা করে যাচ্ছে। চুক্তি যদি বাস্তবায়ন করা না হয় তাহলে আগামীতে পাহাড়ে সকল অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য সরকারকেই দায় নিতে হবে।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অনন্ত বিকাশ ধামাই, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল এবং বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অলিক মৃ প্রমুখ।

Exit mobile version