parbattanews

নানান সমস্যার অন্তরালে দৌছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়

বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি জনপদের উচ্চ শিক্ষার একমাত্র মাধ্যম দৌছড়ি উচ্চবিদ্যালয়। পাহাড়ি বাঙালিদের এই দুর্গম জনপদের শিক্ষা বিস্তারে রয়েছে প্রধান ভুমিকা। তবে বিদ্যালয়টি রয়েছে নানান সমস্যার অন্তরালে।

২০০১ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বর্তমানে ২ শতাধিক ছাত্র ছাত্রী রয়েছে। শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছে ৮ জন। পাঠদানের অনুমতিও মিলেনি এবং দীর্ঘ ২০ বছর যাবত এমপি ও ভুক্তি না হওয়ায় বিনা বেতনে পাঠদান দিয়ে যাচ্ছে শিক্ষকেরা। কোন রকম ছাত্র ছাত্রীদের মাসিক বেতন নিয়ে শিক্ষকেরা চলছে। তাও আবার অনেক শিক্ষার্থীরা মাসিক বেতনও দিতে পারেনা।

এছাড়া দীর্ঘ ১ বছর করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় ছাত্র ছাত্রীদের বেতন ও বন্ধ প্রায়। সরকার ঘোষিত করোনা ভাইরাসের কারণে কোন ধরণের প্রণোদনার টাকাও পায়নি বলে শিক্ষকেরা জানান। সব মিলিয়ে দৌছড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা মানবেতর জীবনযাপনে কাটছে এখন। রয়েছে নানান সমস্যার অন্তরালে।

সরজমিনে এই প্রতিবেদক দৌছড়ি উচ্চবিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে এসব তথ্য চিত্র উঠে আসে।

দৌছড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহজাহান জানান , তিনি যোগদানের পর থেকে বিদ্যালয়টিকে লেখাপড়ার মান উন্নয়নের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। কারণ পাহাড়ি জনপদের ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য রয়েছে এই একটি মাত্র উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তিনি আরও জানান, কষ্ট করে হলেও লেখাপড়ার মান উন্নয়নের জন্য কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। গতবারের জেএসসি ভাল ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানান।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বর্তমান দৌছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবউল্লাহ বলেন, বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তিনি আন্তরিকতার সাথে মান উন্নয়নের জন্য কঠোরভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর এমপি মহোদয়ের সুনজরে আজ হাঁটি হাঁটি পা পা করে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। মন্ত্রী মহোদয়ের অবদান বিদ্যালয়ের ভবনসহ সব কিছু পেয়েছি। বাকি সমস্যার কথা ও তিনি অবগত রয়েছেন। অচিরেই বাকি সমস্যা ও সমাধান হবে ইনশাআল্লাহ।

স্থানীয়রাও একইভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Exit mobile version