সম্প্রসারিত জেলা পরিষদ কোন সম্প্রদায়ের ক’জন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মন্ত্রীসভায় অনুমোদনের পর চেয়ারম্যানসহ ১১ সদস্য বিশিষ্ট সম্প্রসারিত পার্বত্য তিন জেলা পরিষদ নতুনভাবে দ্রুত গঠনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ প্রদান করেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনা ও সার-সংক্ষেপ মন্ত্রীসভায় পেশ করার পর গত সোমবার মন্ত্রীসভার নিয়মিত বৈঠকে আলোচনা এবং বর্তমান পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর সদস্য ৫ থেকে বাড়িয়ে ১১সদস্যে সম্প্রসারণে নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রথম সভায় প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর জানান, পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর ১১ সদস্যের সম্প্রসারণের ফলে পাহাড়ে বসবাসরত ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ বাঙ্গালি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে।
পার্বত্য মন্ত্রণালয় সুত্র জানায়, সম্প্রসারিত বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠিত হচ্ছে যেভাবে- চেয়ারম্যান ছাড়াও মারমা থেকে ২জন, অউপজাতি (বাঙ্গালী) থেকে ৩জন, ম্রো থেকে ১জন, তঞ্চগ্যা ও চাকমা থেকে ১জন, চাক, খিয়াং ও খুমি থেকে ১জন, ত্রিপুরা থেকে ১জন এবং বম, লুসাই ও পাংখোয়া থেকে ১জন মনোনীত সদস্য হবেন।

সম্প্রসারিত রাংগামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠিত হচ্ছে যেভাবে- চেয়ারম্যান ছাড়া চাকমা থেকে ৩জন, তনচংগ্যা থেকে ১জন, অউপজাতি (বাঙ্গালী) থেকে ৩জন, মারমা থেকে ১জন, খিয়াং ও লুসাই থেকে ১জন, ত্রিপুরা থেকে ১জন মনোনীত সদস্য হবেন। 

সম্প্রসারিত খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠিত হচ্ছে যেভাবে- চেয়ারম্যান ছাড়া চাকমা থেকে ৩জন, মারমা থেকে ২জন, ত্রিপুরা থেকে ২জন এবং অউপজাতি (বাঙ্গালী) থেকে ৩জন সদস্য মনোনীত সদস্য হবেন।

বর্তমান পার্বত্য তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ  ৫ সদস্য বিশিষ্ট পরিচালিত হয়ে আসছে। এসব পার্বত্য জেলা পরিষদে মাত্র একজন বাঙ্গালী সদস্য রয়েছে। সুত্র জানায়, পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর নির্বাচন না হাওয়া পর্যন্ত ১১ সদস্য নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ পরিচালিত হবে।

পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৯ সালের ২৫জুন। পর্যায়ক্রমে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদে সরকারের ২৩টি বিভাগ, বান্দরবান জেলা পরিষদে ২১টি বিভাগ এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে ২২টি বিভাগ ন্যস্ত করা হয়েছে। এসব পরিষদ সরকারের ন্যস্ত বিভাগগুলোতে বিদ্যমান  তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদে জনবল নিয়োগ দিয়ে আসছে এবং উন্নয়ন সমম্বয়ের কাজ করছে।

পরিষদগুলো সম্প্রসারিত হওয়ার পর একদিকে সকল সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষ তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পেতে সহজতর হবে বলে জানিয়েছেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ক্যশৈ হ্লা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন